দৈনিক খবর

গাজর চাষে লাভবান চাষিরা

গত কয়েকবছর অন্যান্য ফসলের চেয়ে গাজর ও বিভিন্ন সবজি চাষে লাভের মুখ দেখায় এবছরও চাষিরা ব্যাপকভাবে গাজর চাষ করেছেন। পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সবজি আবাদ হলে জেলায় সবজি ব্যবসা ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। চলতি বছর পাবনায় গাজর চাষে লাভবান চাষিরা।

গত কয়েক বছর যাবত পাবনার কৃষকরা গাজর চাষে ঝুঁকছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় গাজরের উৎপাদন খরচ কম ও বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। তাই অন্যান্য ফসল চাষ না করে গাজর, টামটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলার কৃষক রজব আলি বলেন, কয়েকবছর আগেও সরিষা, তিল সহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করতাম। এইসব ফসল চাষ করে বেশি লাভ করা যায় না। গাজর চাষে খরচ কম আর প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা লাভ করতে পারছি। তাই এখন পুরো জমিতে গাজরের চাষ করছি।

গ্রামের আরেক কৃষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমি এবছর ২ বিঘা জমিতে গাজরের চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত ১ বিঘা জমির গাজর তুলে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এই গাজর বিক্রি করার পর জমিতে লাল শাক চাষ করবো।

কৃষক রজব আলি বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাজারদর ভালো থাকায় গাজর চাষ করছি। আগে বাজারে ৭০ টাকা কেজি গাজর বিক্রি হয়েছে। তখন পাইকাররা আমাদের থেকে ৯০০-১০০০ টাকা মণ দরে কিনে নিয়ে যায়। এতে আমাদের লাভের পরিমান কম। আমাদের থেকে কিনে নিয়ে পাইকাররা বেশি দামে বিক্রি করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উন্নয়ন শাখার কর্মকর্তা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলি বলেন, চলতি বছর পাবনায় ২২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এখন পর্যন্ত ২১ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ করা হয়েছে। বাকি জমিতেও আবাদ করা হবে। চাষাবাদে আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি। কৃষকরা অধিক লাভের আশায় গাজরের ব্যাপক আবাদ করেছেন।

Related Articles

Back to top button