দৈনিক খবর

ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড নিউজিল্যান্ড, জরুরি অবস্থা জারি

নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ঘূণিঝড় ও ভারি বৃষ্টির কারণে বন্যার কবলে বহু মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে দেশটির বাড়ি-ঘর ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। একাধিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, নিউজিল্যান্ডের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কিরেন ম্যাকআন্টলি জরুরি অবস্থা জারি পত্রে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাক্ষর করেন। প্রবল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার প্রভাবে কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর এ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কিরেন ম্যাকআন্টলি বলেছেন, ‘এটি অভাবনীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই ঝড়টির বেশিরভাগ প্রভাব পড়ছে পূর্ব আইল্যান্ডে।’

এই নিয়ে নিউজিল্যান্ডে ইতিহাসে এ নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে জঙ্গি হামলা এবং ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিউজিল্যান্ডের কোথাও কোথাও বন্যা ও ভূমি ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে দেশটির সর্ববৃহৎ শহর অকল্যান্ডের কিছু অঞ্চল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ম্যাকআন্টলি জানিয়েছেন, ‘এটি বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়। যা সত্যিকার অর্থে নিউজিল্যান্ডের মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে।’ মন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবারও পুরো দেশে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকবে। যার কারণে জরুরি পরিষেবা সংস্থাগুলোর সেবা ব্যহত হবে।

এছাড়া নিউজিল্যান্ডের ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব অকল্যান্ডে একটি বাড়ি ধসে পড়ে একজন ফায়ারকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। অপর এক কর্মী নিখোঁজ আছেন। হয়তবা বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ে আছেন তিনি।ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিউজিল্যান্ডে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার থেকে আবার বিমান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রয়াত্ত বিমান সংস্থা এয়ার নিউজিল্যান্ড।সূত্র: বিবিসি।

Related Articles

Back to top button