দৈনিক খবর

বাংলাদেশে একটা জিনিসই খারাপ- যানজট: মালিক

চলতি বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলতে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া তো দূর, হোটেলেও নাকি থাকছেন ভীষণ চুপচাপ। ক্রিকেট মাঠে এত বেশি অভিজ্ঞতা যার, তার কাছ থেকে নিশ্চয়ই শোনার আছে অনেক গল্প। কিন্তু শোয়েব মালিক এতদিন বলেননি কিছু। আজ রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কথা বলা শুরু করার আগে জানালেন সতর্কবার্তা- বল এসে পড়ে কি না একটু দেখবেন…!

শোয়েবের কথা বলার ফাঁকে ভয়ই সত্যি হলো। অবশ্য গায়ে পড়লো না বল, সংবাদ সম্মেলনের কয়েক হাত দূরে পড়লো সেটি। শোয়েবের এমনিতে বাংলাদেশ পছন্দ বেশ। বিপিএল এলেই যেমন ভিন্ন জায়গায় আলাদা কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জ দেখেন। এখানকার খাবার-দাবারও পছন্দ তার। কিন্তু সমস্যা একটাই, কী? ক্রিকেটীয় না অবশ্য, বাংলাদেশের যানজট ছাড়া সবই ভালো লাগে পাকিস্তানি তারকার।

তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসি, এখানকার লোকজন ভালোবাসতে জানে। তারা মাঠে আসে, দলকে সমর্থন দেয়। বাংলাদেশের খাবার ভালোবাসি, মাছ পছন্দ করি। এমনকি এখানকার খেলোয়াড়রাও ভালোবাসতে জানে। তারা তাদের খেলায় উন্নতি করতে চায়। এটা একটা পুরো প্যাকেজ যখন বাংলাদেশে আসি। একটা জিনিসই খারাপ- যানজট।’

এদিকে প্রায় দুই যুগের ক্রিকেট ক্যারিয়ার। পাকিস্তানের হয়ে ২৮৭ টেস্ট, ১২৪ ওয়ানডে, ৩৫ টেস্ট খেলেছেন। পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়িয়ে খেলেছেন পাঁচশর কাছাকাছি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ৪৯৮ টি-টোয়েন্টিতে তার রান ১২ হাজার ২৭৪। মালিক এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বাংলাদেশকে দেখেছেন কাছ থেকেই। এ নিয়ে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।

এর জবাবে মালিক বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় অনেক কিছুই বদলে গেছে। এখন বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারকেই পৃথিবীজুড়ে চেনে। এমনকি তারা সুযোগও পাচ্ছে দুনিয়াজুড়ে, যেখানেই লিগ হচ্ছে। ঘরের মাঠে তাদের সফল হওয়ার রেকর্ড অসাধারণ। একটা জায়গায় তারা উন্নতি করতে পারে- সেটা হচ্ছে যখন দেশের বাইরে খেলে। কিন্তু যদি প্রতিভার দিকে তাকাই, আছে। এখন শুধু তাদের ধারাবাহিকভাবে সুযোগ দিতে হবে যেন তারা খেলায় উন্নতি করতে পারে।’

এ সময় বিপিএল নিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটের মান খুব প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, বিশেষত ব্যাটারদের জন্য। এখানে আপনি ব্যাটিংয়ের জন্য মানানসই পিচ পাবেন না। যদি আপনি চট্টগ্রামে যান আলাদা, সিলেটে আলাদা, ঢাকায় আলাদা কন্ডিশন। আমার মনে হয় যেখানেই যাবেন আলাদা কন্ডিশন পাবেন প্লেয়ার হিসেবে। যখন আলাদা ভেন্যুতে ভিন্ন কন্ডিশনে পাবেন, তখন খেলোয়াড় হিসেবে উন্নতিতে সাহায্য করবে। হয়তো এজন্যই এখানে আসতেই পছন্দ করি।’

Related Articles

Back to top button