দৈনিক খবর

বাতাসের কবলে জাহাজ, নিরাপদে ফিরেছে পর্যটকরা

প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন থেকে ফেরার পথে বাতাসের কবলে পড়েছে পর্যটকবাহী জাহাজগুলো। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পর্যটকদের নিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে ফিরতি পথে এ অবস্থার মুখোমুখি হয় জাহাজগুলো। এ সময় অনেক পর্যটক কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াই জাহাজগুলো টেকনাফ দমদমিয়া ঘাটে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। জানা গেছে, মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ভিডিওতে দেখা যায়, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ এসটি সুকান্ত বাবু সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যে টেকনাফের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছে। অন্য একটি ভিডিওতে একই দৃশ্য দেখা যায় পারিজাত নামের একটি জাহাজের।

সেন্টমার্টিন থেকে ফেরা জাহাজের যাত্রী মোহাম্মদ হাসান বলেন, ব্যক্তিগত কাজ থাকায় এবং ঘুরতে সোমবার সেন্টমার্টিন গিয়েছিলাম। মঙ্গলবার বিকালে সেন্টমার্টিন ছেড়ে টেকনাফে রওনা দিই। কিছুদূর আসার পর সাগরে বাতাসের কবলে পড়ে আমাদের জাহাজ। পাশাপাশি সবগুলো জাহাজ ঢেউয়ের ধাক্কায় কমবেশি দুলতে ছিল। আমরা ভয় পেয়েছিলাম। তবে জাহাজগুলো নাফনদে ঢুকলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। সন্ধ্যায় আমরা নির্ধারিত সময়ে টেকনাফের জাহাজ ঘাটে পৌঁছাই। ঢাকা থেকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে আসা মাহবুব আলম বলেন, সকালে যাওয়ার সময় তেমন বাতাস না থাকায় আমরা নিরাপদে সেন্টমার্টিন পৌঁছাই। তবে বিকালে ফেরার পথে বাতাসের কারণে আমাদের জাহাজসহ অন্য জাহাজগুলো ঝোড়ো বাতাসের মুখে পড়ে। ঢেউয়ের তালে দুলতে দুলতে পথ চলতে থাকে। ভাগ্য সহায় ছিল, সবকটি জাহাজ বিপদ কাটিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ টেকনাফের উপ-পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দমকা হাওয়ার কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে পড়লে জাহাজটি হেলে-দুলে চলতে থাকে। এতে করে পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, আজকে বাতাস ছিল, তাই জাহাজগুলো বঙ্গোপসাগরে সমস্যায় পড়েছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিরাপদে টেকনাফ ঘাটে পৌঁছায়। খবর পাওয়ার পর সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button