দৈনিক খবর

চাকরির প্র’লো’ভ’নে সংযুক্ত আরব আমিরাত গিয়ে ঠাঁই হলো গাছতলায়

চাকরির পাওয়ার প্র’লো’ভ’নে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে দুবাইয়ে গিয়ে গাছতলায় ঠাঁই হয়েছে হবিগঞ্জ শহরের খানজাহান আলী স্বপন (২৫) নামে এক যুবকের।

খানজাহান আলী স্বপনকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চাকরি দেয়ার প্র;লো;ভ;ন দিয়ে টাকা আ;ত্ম;সা’তে’র অ;ভি’যো’গে বাবা ছেলেসহ ৫ জনের বি;রু;দ্ধে মা;ম;লা দা;য়ের করেছেন স্বপনের মামা আব্দুল কাদির। ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার তিনি হবিগঞ্জ সিনিয়র জু;ডিশিয়াল ম্যা;জিস্ট্রেট আ;দা’ল’তে এ মা’ম’লা দা’য়ে’র করেন।

আ;সামিরা হলেন-জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান (৩৫) ও দুলাল মিয়া (৪০), একই গ্রামের মৃ’ত আব্দুন নূরের ছেলে শহিদ মিয়া (৬৫), মৃ;ত আব্দুল জব্বারের ছেলে আক্তার মিয়া (৪০) ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল পশ্চিমপাড়ার ইলিয়াছ মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা খাতুন (২৮)।

বিচারক মা;ম;লা;টি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন।

বাদীর অভিযোগ, তার ভাগ্নে হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুর এলাকার বাসিন্দা খানজাহান আলী স্বপনকে দুবাইয়ে নিয়ে চাকরি দেয়ার প্র’লো’ভ’ন দেখিয়ে দু’দফায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা আ;ত্ম;সা;ৎ করেছেন আ;সা’মি’রা।

মা;ম;লা;য় অভিযুক্ত খলিলুর রহমান ও দুলাল মিয়া দুবাই থাকেন। এ ২ জনের বাবা শহীদ মিয়া স্বপনকে সেখানে ফলের আড়তে চাকরি দেয়ার প্র;লো;ভ;ন দেন।

স্বপন সেখানে প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবে বলেও জানান তিনি। পরে গত ৫ ও ১১ এপ্রিল তিনি আব্দুল কাদিরের কাছ থেকে দুই দফায় ৩ লাখ টাকা নেন।

এরপর ১৩ এপ্রিল স্বপনকে দুবাই পাঠানোর পর খলিলুর রহমান ও দুলাল তাকে রিসিভ করেন। কিন্তু ১৫ দিন তাদের কাছে রাখার পরও কোনো চাকরি হয়নি। পরে আরও দুই লাখ টাকা নেন। তারপরও চাকরি হয়নি স্বপনের।

একপর্যায়ে চাকরির জন্য তাদের চা’প দিলে খলিলুর রহমান ও দুলাল মিয়া দুই ভাই মিলে স্বপনকে তাদের বাসা থেকে বের করে দেন। এরপর কিছুদিন অসহায়ভাবে দুবাইয়ের গাছতলায় রাত কা’টা’তে হয় তাকে। পরে পরিচিতজনদের খুঁজে তাদের আশ্রয়ে যান স্বপন।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা জানান, আদালতের অদেশ তার হাতে এসে পৌঁছালে এনিয়ে তিনি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করবেন।

Related Articles

Back to top button