দৈনিক খবর

বাসভবনে সবজি চাষ করে ইউএনওর চমক

বাগানের উৎপাদিন সবজি নিজের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে উপহারস্বরুপ বিতরণ করছেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী। বাসভবনের তিন পাশের পরিত্যক্ত জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। তিনি কাজের ফাঁকে ফাঁকে বাসভবনের পাশে এই বাগান গড়ে তুলেছেন। নিজের হাতে এই বাগানের পরিচর্যা করেন তিনি।

বাসভবনের ভেতরে অনেকটা জায়গা পতিত পড়ে থাকতো। তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে সেখানে বাগান গড়ে তুলেছেন। বাগানের নাম দিয়েছেন ‘আত্মীয় পল্লী’। তিনি বাগানে শিম, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, মুলা, ধনিয়া পাতা, সরিষা, পিঁয়াজ, রসুন, লালশাক, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন। নিজের চাহিদার পাশাপাশি আশের পাশের বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষকে তিনি উপহার দেন।

বাসভবনের চারিদিকে ইটে ঘেরা চত্বর এখন ফসলের মাঠে রূপ নিয়েছে। গাছে গাছে শিম, টমেটো, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, লালশাক, ডাটাশাক, পুঁইশাক, ধনিয়া পাতাসহ নানা রকমের সবজির চাষ করেছেন। তিনি নিজ হাতে এই বাগান গড়ে আশেপাশের মানুষকেও বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে উৎসাহিত করছেন। আশেপাশের সবাইকে তাদের খালি জায়গা ফেলে না রেখে সেখানে কিছু চাষ করতে আহ্বান করছেন।আবাদ করার পর তা মানুষের মাঝে বিতরন করে দিচ্ছেন।

অফিসার সুমন জিহাদী বলেন, বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবেলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ করেছেন যেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানের পর সরকারি বাসভবনের তিন পাশে ফাঁকা জায়গায় সবজি চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যই বিভিন্ন প্রজাতির সবজি চাষ করছি এবং সাফল্যও পেয়েছি। নিজে চাষ করে ফসল ফলানোর আনন্দই অন্যরকম। অবসর সময়ে আমি নিজেই গাছগুলোর পরিচর্যা করেছি।

দুপচাচিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ফারুক বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার বাসভবনের খালি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন। সবজিগুলো তিনি নিজের হাতেই যত্ন নিয়ে বেড়ে উঠান। তার আত্মীয় পল্লী গড়ি কর্মসূচির মাধ্যমে নিজ হাতে চাষকৃত সবজিগুলো বিতরণের ভিতর দিয়ে চমৎকার সম্প্রীতি ও ভালোবাসার একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি মানুষ পরিত্যক্ত জায়গা ফেলে না রেখে সেখানে বিভিন্ন সবজি চাষে উৎসাহিত হচ্ছে।

Related Articles

Back to top button