দৈনিক খবর

এবার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গিয়ে যা বললেন হিরো আলম

আলোচনায় উঠে আসা ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম রাজনীতিতে নাম লিখিয়ে নানা ধরনের কল্যানমূলক কাজ করার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েকদিন আগে তিনি তার নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন খুলে সেখান থেকে গরীব ও অসহায়দের সাহায্য করছেন এছাড়াও তিনি নানা ধরনের কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করছেন। এছাড়া নানা অন্যায় কর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশও করছেন।

এবার তিনি বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বিসিবির কার্যক্রম পুনঃস্থাপন ও খেলা ফেরানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন। ওই মানববন্ধন থেকে হিরো আলম দাবি করেন, শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে জু”য়ার বোর্ড বসাতে চায় সিন্ডিকেট।

হিরো আলম তার বক্তব্যে বলেন, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের বিরুদ্ধে একটি শ্রেণি সিন্ডিকেট কাজ করছে। তারা বগুড়ায় স্টেডিয়াম চায় না। তারা চায় সবাই স্টেডিয়াম ছেড়ে যাক। এরপর স্টেডিয়াম শেষ হলে ওই লোকেরা মাঠে জুয়ার বোর্ড বসিয়ে দেবে, মেলা বসানোর চেষ্টা করবে, কোরবানি এলেই হাট বসাবে।

আলোচনায় এই ইউটিউবার বললেন, স্টেডিয়াম কি মেলা, হাট বা জুয়ার আসর বসানোর জন্য? সিন্ডিকেট চায় স্টেডিয়ামের অস্তিত্ব না থাকুক। তারপর তারা ৯৯ বছরের জন্য গ্রাউন্ড লিজ নিয়ে যা খুশি তাই করবে।

স্টেডিয়াম বন্ধের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দায়ী নয় দাবি করে তিনি বলেন, বিসিবির কোনো দোষ নেই। তারা এখানে কাজ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই সিন্ডিকেট কাজে বাধা দিচ্ছে। তারাই বিসিবির খেলা আসার আগে চিঠি দিয়ে বাধা দিয়েছে যেন খেলা না হয়।

কারা এই সিন্ডিকেট জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, আপনারা প্রায় সবই জানেন। আমি এখন তাদের নাম বলতে চাই না।

হিরো আলম বলেন, স্টেডিয়াম থেকে মালামাল ও কর্মকর্তাদের সরানো বগুড়াবাসীর জন্য লজ্জাজনক। ১৫ বছরে বগুড়ার কোনো উন্নয়ন হয়েছে? এ সময়ে বগুড়াকে কী দেওয়া হয়েছে? ৫০ বছর পর কয়েক মাস আগে উপনির্বাচনে বগুড়া সদর থেকে নির্বাচিত হন নৌকা মার্কার রাগেবুল আহসান রিপু ভাই। আমিও তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছি।

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের উদ্দেশে হিরো আলম বলেন, আমি রিপু ভাইকে বলতে চাই, বগুড়ার জনগণ তাদের সুরক্ষার দায়িত্ব নিতে আপনাকে ভোট দিয়েছে। আপনি যখন দায়িত্বে আছেন, তখন বিসিবি স্টেডিয়াম থেকে সবকিছু তুলে নেয় কিভাবে? এই দীর্ঘ ১৫ বছরে বগুড়ায় কোনো জাতীয় খেলা দেননি।

তিনি বলেন, বগুড়া বিমানবন্দরে গরু-বাছুর চরে বেড়ায় এবং ধান চাষ হয়। এখন শুধু আছে এক মেডিকেল কলেজ। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আন্দোলন করে আমাদের কোনো লাভ হয় না। আপনি বগুড়ার মাটিকে ঘাঁটি না বানিয়ে উজাড় করে দিয়েছেন। এটা লজ্জার। এজন্য ধিক্কার জানাই আমি।

মানববন্ধন শেষে হিরো আলম বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। এ সময় হিরো আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও বগুড়ার সন্তান শফিউল ইসলাম সুহাসের সঙ্গে। স্টেডিয়ামে বিসিবির কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার অনুরোধও করেন হিরো আলম।

এর আগে ২ মার্চ বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে লোকবলসহ মালামাল প্রত্যাহার করে নেয় বিসিবি।

এদিকে হিরো আলম নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলন ডাকেন এবং সেখানে তিনি নির্বাচনের ফলাফল মানেন না বলে জানান। তিনি থামছেন না বলেও এর আগে মন্তব্য করেছেন। তিনি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে জানান, ‘শেষ সময়ে এসে নির্বাচনের ফল পল্টানো হয়েছে। কারন যেখানে ভোট টেমন পড়েনি সেখানে প্রায় সকল ভোট কাউন্ট হয়েছে যেটা কারনে কারচুপি ঘটেছে বোঝা যায়। ‘

Related Articles

Back to top button