দৈনিক খবর

রঙিন ফুলকপি চাষে দ্বিগুণ লাভবান কৃষক আব্দুল লতিফ

বর্তমানে তার জমিতে প্রতিদিন মানুষ রঙিন ফুলকপি দেখতে ভিড় করছেন। আবার কেউ কেউ চাষের পরামর্শও নিচ্ছেন। রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষক আব্দুল লতিফ মোল্লার বাজিমাত। তিনি সারাবছর অন্যান্য সবজি চাষ করলেও রঙিন ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হতে পেরেছেন।

কৃষক আব্দুল লতিফ মোল্লা শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার দেউল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সারাবছর বিভিন্ন সবজির চাষ করে থাকেন। এবছর তিনি রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। বর্তমানে তার জমিতে আশেপাশের অনেক কৃষকরা এসে রঙিন ফুলকপির ফলন দেখছেন এবং তার কাছ থেকে চাষের পরামর্শ নিচ্ছেন। রঙিন ফুলকপি চাষ করেই তিনি দ্বিগুণ লাভবান হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়েছেন।

কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন, আমি সারাবছর করলা, সজনে, লালশাক, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজির চাষ করে থাকি। এবছর কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমার ১৬ শতাংশ জমিতে প্রায় ২ হাজার চারা রোপন করি। কোনো প্রকার কীটনাশক বা সার ব্যবহার না করে শুধু মাত্র জৈব সার ব্যবহার করে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। রঙিন ফুলকপি চাষে আমার ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। চারা রোপণের ৭০-৭৫ দিন পর রঙিন ফুলকপি আসে। এখন বিক্রিও শুরু করেছি। অনকে আবার জমিতে এসেই নিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি দেড় লাখ টাকার রঙিন ফুলকপি বিক্রি করতে পারবো। এই ফুলকপি বাজারে নেওয়ার সাথে সাথেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

আরেক কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, এ বছর আমিও রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। হলুদ ও বেগুনি ফুলকপি দেখতে খুব সুন্দর। আর শুনেছি এই ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। তাই বাজারেও এর চাহিদা বেশি। তাই চাষ করেছি। আগামীতেও চাষ করবো।

কৃষি কর্মকর্তারা জানায়, রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আশা করছি আগামীতে এ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে রঙিন ফুলকপির চাষ হবে।

Related Articles

Back to top button