দৈনিক খবর

ছাত্রলীগের ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অডিও ফাঁস

সম্প্রতি সারা দেশের আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। বেশ কিছু ঘটনার কারনে বার বার আলোচনায় আসছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটি। আর এবার আলোচনায় আসলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির একটি বিষয়। জানা গেছে নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অডিও ফাঁসের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ইমেইলে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো. আমানুর আমান।।

কর্তৃপক্ষের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, উপাচার্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে বাণিজ্য করছেন এমন সব খবর একান্ত আলাপচারিতার মাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ ও বিচারিক কমিটির মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করলেও হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও হল প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কমিটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সত্য প্রকাশে একই সঙ্গে কাজ করছেন ভাইস চ্যান্সেলরের স্ত্রীসহ। সেখান থেকে একাধিক নামে ভুয়া আইডি খুলে এসব প্রকাশ করা হচ্ছে।

অডিওর বক্তব্যের যুক্তি খণ্ডন করে বলা হয়, ওই নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়নি। পরীক্ষার জন্য কোনো প্রশ্নপত্র প্রস্তুত করা হয়নি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত নিয়োগ বোর্ডের সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে লিখিত পরীক্ষার ঠিক আগে প্রতিটি সদস্যের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রশ্নসহ প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয় এবং সদস্যদের উপস্থিতিতে তা কম্পিউটারে চূড়ান্ত করা হয়। সিলগালা অবস্থায় পরীক্ষার হলে নিয়ে যাওয়া হয়। কথিত নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে কিছুই করা হয়নি। প্রয়োজনে ইউজিসি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারে।

এই লিখিত বক্তব্যে কাল্পনিক অপপ্রচারে কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় শেখ আবদুস সালামের পদত্যাগের দাবিতে অস্থায়ী কর্মচারী পরিষদের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে ইবি ভিসি প্রফেসর ড. তারা ভিসির কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রাখে।

বিক্ষোভ শেষে তারা চলে গেলে বেলা ১১টার পর তালা খুলে ভিসি অফিসে আসেন।

চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে ভিসির কণ্ঠের অডিও ফাঁস হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ সোমবার ও বুধবার তিনটি নিয়োগ বাছাই বোর্ডের বৈঠক স্থগিত করেছে।

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার মেডিক্যাল অফিসার পদের, ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টার শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও একই দিনে সাড়ে ১১টার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক পদের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সভা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। পরে তারিখ ও সময় জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, এ দিকে এই ঘটনায় এখন বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে সবখানে। সকলেই এমন ঘটনার বিরোধিতা করছেন। বলছেন একজন ভিসির এ ধরণের ঘটনা শোভা পায়না। আর এই কারনে ছাত্রছাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই তার এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।

Related Articles

Back to top button