ছোট পর্দার তুমুল সাড়া জাগানো অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। আজ ওটিটি প্লাটফর্ম ‘বিঞ্জে’-এ মুক্তি পাবে তার অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘দ্যা সাইলেন্স’। সেই উপলক্ষে রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীর এস কে এস টাওয়ারের সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয় ওয়েব সিরিজটির প্রিমিয়ার শো।
ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করেছেন ভিকি জাহেদ। যেখানে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে মেহজাবিন চৌধুরী ও শ্যামল মাওলাকে। এছাড়াও পর্দায় উপস্থিতি থাকবে জনপ্রিয় অভিনেতা আব্দুন নূর সজলও।
প্রথম পর্বে দেখা যায় রুবি একজন নার্স এবং তার স্বামী অয়ন একজন প্রাইভেট কারের ড্রাইভার। নার্স হয়ে রুবি যে বাসায় কাজ করেন সেখান থেকে টাকা চুরি করে। অয়ন গাড়ির তেল কেনার টাকার স্লিপে বেশি টাকা লেখে এবং সেই টাকা দিয়ে অনলাইনে জুয়া খেলে।
হঠাৎ তার সঙ্গে দেখা হয় অদ্ভুত এক মানুষের। তার ঠিকানায় গিয়ে দেখে, দেশের কোন কোন বিভাগে মানুষ মারা যাবে তা অনুমান করতে পারলে টাকা পাওয়া যায়। তাদের সঙ্গে সেই খেলায় যোগ দেন মেহজাবিন চৌধুরী এবং শ্যামল মাওলা। এভাবেই এগিয়ে যায় ‘দ্যা সাইলেন্স’ গল্প।
ওয়েব সিরিজ প্রসঙ্গে মেহজাবিন বলেন, আমাদের সবার ভেতরে কিছু ইচ্ছা থাকে যেটা আমরা প্রকাশ করি না। একজন স্বাভাবিক মানুষের এই ধরণের বৈশিষ্ট্য থাকে। ‘দ্যা সাইলেন্সে’ আপনারা রুবি নামে একটি মেয়েকে দেখবেন।
যাকে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের সঙ্গে তুলনা করতে পারবেন। সবার স্বপ্ন থাকে অনেক বড় হওয়ার। রুবি মেয়েটিরও একটি জার্নি শুরু হয়। সেই জার্নি নিয়েই ‘দ্যা সাইলেন্স’ এগিয়ে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভিকি জাহেদ ভাইয়ের সাথে বেশ কয়েকটি কাজ করা হয়েছে। তার প্রতিটি কাজই দর্শক নন্দিত। সে দর্শকদের জন্য আলাদা একটি টেস্ট তৈরি করেন।
নির্মাতা ভিকি জাহেদ বলেন, ‘চিত্রনাট্য এমন ভাবে তৈরি করেছি, যাতে সিরিজ শেষ করার পর দর্শক নীরব হয়ে যাবে। অর্থাৎ সিরিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে সাইলেন্সড হয়ে যাবে। লোভ মানুষের আদিমতম রিপুগুলোর একটি। এই লোভকে ঘিরেই চক্রাকারে ঘোরে ভালোবাসা, ঘৃণা, ভয় এবং দুঃসাহস। এতে আরো অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, বিজরী বরকত উল্লাহ প্রমুখ।
