দৈনিক খবর

সিঙ্গাপুরে ড্রাইভারের যে প্রশ্নে মাথা নত করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র ছিলেন বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই রিইউনিয়নে অংশ নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের তার জীবনের স্মৃতি রোমন্থন করেন। এ সময় তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এই জগন্নাথে ভর্তি না হলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারতাম না। আমি যখন জগন্নাথ কলেজের ছাত্র ছিলাম তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষণা করেছিলেন। তখন এই কলেজের নেতৃবৃন্দ আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ৬ দফা পটাভমি কি? আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনগণকে ৬ দফা দাবির গুরুত্ব বোঝাতে শুরু করলাম।

শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অ্যালামনাই রিইউনিয়নে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জগন্নাথ কলেজ, বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আমার রাজনৈতিক জীবনের গতিকে ত্বরান্বিত করেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন বিল্ডিংগুলোর স্মৃতি স্মরণ করতে বারবার এখানে আসি। আমি এখানে প্রতিটি দেয়ালে দেয়ালে আমার স্মৃতি মন্থন করি।

তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনলেই আমার দুর্বলতা কাজ করে। জগন্নাথ আমার রাজনৈতিক জীবনের ভিত্তি এবং পরবর্তীকালে আমার সফলতা অর্জনের মূলে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসা”ম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের পর আমরা মনে করতাম, আমরা বেঁচে আছি না মরে গেছি।

যখন দেখি রাজাকারদের গাড়িতে দেশের পতাকা। আমি সিঙ্গাপুরে গেলে সে দেশের ড্রাইভার আমার কথা শুনে বুঝেছিল আমি বাংলাদেশী। তারপর একটা পার্কিংয়ে গাড়ি থামিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- আপনারা কিভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেন? আমি লজ্জায় মাথানত হলাম।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে যারা জয়ী হবে তারাই সরকার গঠন করবে, এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।

অ্যালামনাই সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জবির উপাচার্য প্রফেসর ড.ইমদাদুল হক বলেন, প্রাক্তন ছাত্ররাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ।

প্রাক্তন ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে বিভিন্নভাবে অবদান রেখে থাকে। একটি উত্সবমুখর পরিবেশের মাধ্যমে এই পুনর্মিলন জীবনের অতীত স্মৃতি মনে করিয়ে দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে আমরা প্রাক্তন ছাত্রদের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করি।

বিশ্ববিদ্যালয়টির আজকের এই উন্নয়ন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সাবেক যে সমস্ত ছাত্র রয়েছেন তারা বিভিন্নভাবে অবদান রেখে চলেছেনা। এই অ্যালামনাই রিইউনিয়ন একটি বড় ধরনের উৎসব মুখর পরিবেশে অতীতের সকল ধরনের স্মৃতিকে ফিরিয়ে দিয়ে গেল। আমরা সব সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিকের উন্নয়নের জন্য সাবেক যে সমস্ত ছাত্র রয়েছেন তাদের পরামর্শ এবং সকল ধরনের সহযোগিতা কামনা করি।

Related Articles

Back to top button