দৈনিক খবরসারাদেশ

নামাজ শেষে উপার্জনের শেষ সম্বল ইজিবাইক হারিয়ে অঝোরে কাঁদছেন রেজাউল

এতদিন ইজিবাইক চালিয়ে যা উপার্জন হতো তা দিয়ে কোনো রকম বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী ও তিন সন্তানের খরচ যোগাতেন রেজাউল হক। সেই শেষ সম্বল ইজিবাইকটি হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি দোকানে বসে কাঁদছেন তিনি। রেজাউল হক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের পুরাতন গোরস্থানপাড়ার ওমর আলীর ছেলে।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার ৮ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার মসজিদের সামনে নিজের ইজিবাইক রেখে জোহরের নামাজ আদায় করতে যান রেজাউল হক (৪৫)। মিনিট দশেক পর নামাজ শেষে এসে দেখেন তার ইজিবাইকটি নেই। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি ইজিবাইকটি।

সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে তালা ভেঙে ইজিবাইকটি চুরির হওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। এরপরই সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। রেজাউল হক বলেন, শনিবার জোহরের নামাজ আদায় করতে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার মসজিদের সামনে আমার ইজিবাইকটি তালা মেরে রাখি। নামাজ আদায় করে মিনিট দশেক পর এসে দেখি ইজিবাইকটি নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, আমার নিজস্ব কোনো জমি নাই। থাকার জন্য শুধু বাড়িটাই আছে। বছর দুই আগে পুরনো ইজিবাইকটি কিনেছিলাম। এটার উপার্জন দিয়ে বৃদ্ধ বাবা-মা স্ত্রী ও তিন সন্তানের খরচ চালাই আমি। এখন আমি কি করব বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। রেজাউল হকের বড় মেয়ে রুকাইয়া ইসলাম মাদরাসা ছাত্রী, মেজো ছেলে ইয়াসিনের বয়স ১০ বছর ও ছোট মেয়ে রুহানীর বয়স মাত্র সাড়ে তিন বছর।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহব্বুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী রেজাউল হক একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের সনাক্তের চেষ্টা করছি।

Related Articles

Back to top button