দৈনিক খবর

আর কয়েকদিন জেলে থাকলে ফখরুল ও নিজের অবস্থা কি করা হতো জানালেন মির্জা আব্বাস নিজেই

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের আগের দিন রাতে গ্রেফতার করা হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস এবং রুহুল কবির রিজভীকে। মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাস মুক্তি পেলেও এখনো মুক্তি পাননি রুহুল কবির রিজভী। তার অবস্থা এখন বেশ সঙ্গিন জেলের মধ্যে।এ নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস।

অসুস্থতার কারণে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, আমি যদি আরও দু-একদিন কারাগারে থাকতাম, তাহলে রিজভীর মতো আমাদেরও (ফখরুল ও আব্বাস) অবস্থা হতো।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর কমলাপুরে সিপাহী বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে ‘নিরব পদযাত্রা’ কর্মসূচির শেষ দিনের কর্মসূচির শুরুতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমি আওয়ামী লীগকে বলতে চাই, এই পদযাত্রা আপনাদের ভিত নাড়িয়ে দেবে। তবে আওয়ামী লীগ কণ্ঠ পেয়েছে। কে আসছে? তারা কারা? তারা গণতন্ত্র চায়, ভোটের অধিকার চায়, তারা এদেশের মানুষের অধিকার আদায় করতে চায়- এটা তারা উপলব্ধি করেছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে যে আস্থা দেখছি, আমি বিশ্বাস করি, ইনশাআল্লাহ আমরা এই সরকারের পতন ঘটাব।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা চিৎকার করলে আওয়ামী লীগ ভয় পায়, চুপ থাকলে আওয়ামী লীগ ভয় পায়। আমরা নীরব পদচারণা করার কথা বললাম। তবে বিএনপির পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ রাজপথ কাঁপছে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। সবাই একেক রকম কথা বলছে। কেউ বলে বিএনপির আমরণ মিছিল, কেউ এ কথা, কেউ বলে।

‘আরে ভাই আমাদের পদযাত্রায় তোমাদের কী আসে যায়? যদি হ্যাঁ- এটা তাদের শবযাত্রা হয়ে থাকে তাহলে কিছু আসে যায়। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেব বলছেন- এটা সরকারের বিদায়ের অগ্রিম শোভাযাত্রা, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় একটা নাম দিয়েছেন। আমি আজকে বলছি- এই পদযাত্রা আওয়ামী লীগের শবযাত্রার পূর্ব অবস্থা। আমরা বলে দিচ্ছি, আপনাদের পতন শুরু হয়ে গেছে। এখন শুধু দেশের মানুষের সময়ের অপেক্ষা।’

বারবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলছেন মাসে মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। বোধ হয় কারো রাজত্ব, রাজার হুকুমে দেশ চলবে। আমরা বলতে চাই এই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে চলবে, কারো রাজতন্ত্রে নয়।

প্রসঙ্গত, বিএনপির দু-সময়ের তিন কান্ডারি হলেন মির্জা আব্বাস মির্জা ফখরুল এবং রুহুল কবির রিজভী। বিশেষ করে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে রিজভির অবস্থা হয়েছে সব থেকে খারাপ। দলের জন্য তিনি যাপন করেছেন নির্বাসিত জীবন।

Related Articles

Back to top button