দৈনিক খবর

নিজের নয়, জনগণের ভাগ্য গড়তে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী

দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে নয় দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেটা পারেনি। আমরা নিজেদের টাকায় সেতু করেছি। তাই কেউ যখন মিথ্যা অপবাদ দেয়। সে অপবাদ নিতে আমি রাজি না। আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র আড়াই ঘণ্টায় আমরা এখানে এসেছি। ঢাকা থেকে আগে কোটালীপাড়ায় আসতে ২২ থেকে ২৪ ঘণ্টা লাগত। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছিলাম বলেই আজ এত দ্রুত কোটালীপাড়ায় আসতে পেরেছি। তিনি বলেন, তাদের গঠনতন্ত্রে আছে, সাজাপ্রাপ্ত কোনো আসামি দলের নেতৃত্বে আসতে পারবে না। খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক দুই জনই সাজাপ্রাপ্ত। অথচ তারাই সেই দলের নেতা। সুতরাং সেই দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তুলনা চলে না। যারা তুলনা করে ভুল করেন। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দল গঠন হয়েছে আওয়ামী লীগ। আর জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। বিএনপি মানুষকে আগুন দিয়ে পোড়ায়। তারা সন্ত্রাস করে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের তুলনা হয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের তুলনা কখনও বিএনপির সঙ্গে হয় না। কারণ, আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য। আর বিএনপি প্রতিষ্ঠিতই হয়েছে অবৈধভাবে, ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগী হিসেবে। বিএনপি নিজেরা নিজেদের গঠনতন্ত্র মানে না। তিনি আরও বলেন, কথা দিয়েছিলাম ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেব, সব ঘর আলোকিত করেছি। তবে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশ্বব্যাপী সংকট চলছে। আমরা বিদ্যুতে অর্ধেকের বেশি ভর্তুকি দিচ্ছি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জে ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ৪৩টি নবনির্মিত উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। বেলা পৌনে ১১টায় কোটালীপাড়ায় পৌঁছান বঙ্গবন্ধুকন্যা। উদ্বোধনের পর ষষ্ঠবারের মতো পদ্মা সেতু দিয়ে নিজ জেলা গোপালগঞ্জ যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাড়ি বহরের ১২টি গাড়ির জন্য ১১ হাজার ৬৫০ টাকা টোল দিয়ে সেতু পার হন তিনি।

Related Articles

Back to top button