দৈনিক খবরসারাদেশ

‘মা আমি মরে যাচ্ছি, আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী রাফি’

কুমিল্লার লাকসামে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের সময় পাশ থেকে একটি চিরকুটও পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) লাকসাম থানার এসআই হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে ওই ছাত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওই ছাত্রী ফারজানা আক্তার বৈশাখী কুমিল্লার হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে লাকসাম পৌরসভার বাইপাস হাউজিং এলাকার বাসিন্দা মৃত ফরিদ মিয়া ও মা জেসমিন আক্তারের মেয়ে। নিহতের মা রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন রাফির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত রাফিকে গ্রেফতার করে বুধবার সকালে তাকে কুমিল্লা আদালতে পাঠায়।

চিরকুটে লেখা ব্যক্তি ও গ্রেফতারকৃত শাহাদাত হোসেন রাফি নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের সোনাবেড়ী এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌরশহরে বাইপাস হাউজিং স্টেট এলাকায় জাকির মিয়া ভবনের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকেন মৃত ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার ও তার সন্তানরা। স্কুলছাত্রী ফারজানা আক্তার বৈশাখীকে ঘরে রেখে মা রোজিনা আক্তার প্রতিদিনের মতো একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজে চলে যান। মঙ্গলবার দুপুরে কাজ শেষে বাসায় এসে দেখতে পান তার মেয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলছে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেন। থানা পুলিশের সদস্যরা ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেন।

এ সময় স্কুলছাত্রীর হাতের লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করে পুলিশ। চিরকুটে লেখা রয়েছে- ‘মা আমি মরে যাচ্ছি, পারলে আমাকে মাপ করে দিও… আমার মৃত্যুর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী শাহাদাত হোসেন রাফি।’

লাকসাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠা হয়েছে। নিহতের মা বাদী হয়ে শাহাদাত হোসেন রাফিকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন রাফিকে গ্রেফতার করে বুধবার সকালে কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Related Articles

Back to top button