দৈনিক খবর

পিচঢালা সড়কের গর্ত ভরাটে ব্যবহার হচ্ছে মাটি!

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সদর থেকে আদমপুর সড়কটি খানাখন্দে বেহাল হয়ে পড়েছে। প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকায় কার্পেটিং উঠে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এক প্রকল্পের আওতায় এক সপ্তাহ ধরে এই সড়কের গর্তগুলো মাটি দিয়ে ভরাট করতে দেখা গেছে।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে আদমপুর সড়কে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীন ১০-১২ জন নারী শ্রমিক পাকা সড়কটির উঠে যাওয়া কার্পেটিং ও গর্তগুলোতে মাটি ফেলছেন। সড়কের ধারে ধানি জমির ওপরের মাটি ঝুড়িতে করে সড়কে এনে ফেলা হচ্ছে। কয়েকজন নারী কোদাল দিয়ে মাটিগুলো গর্তে দিচ্ছেন। এক সপ্তাহ ধরে এমন কার্যক্রম চলছে বলে জানান শ্রমিকরা।

সম্প্রতি গ্রামীণ কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (আরইআরএমপি-৩) আওতায় জরুরি সংস্কারের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

মোটরসাইকেল আরোহী রশিদ মিয়া বলেন, ‘১৬ বছর ধরে এ সড়কে চলাচল করছি, কোনো দিন মাটি দিতে দেখিনি। সরকারি কার্যক্রম যে এত নিম্নমানের হয়েছে, তা পাকা সড়কে মাটি দেখলেই বোঝা যায়।’

আরেক পথচারী শাব্বির এলাহী বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই সড়কের গর্তের মাটিতে কাদা জমবে। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক কাজ। বিটুমিনমিশ্রিত পাথর দিলে গর্তগুলো স্থায়ীভাবে ভরাট হতো। অনেক স্থানে গাড়ি চলাচল করে গর্তের মাটি উঠেই গেছে।’

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এলজিইডি বিভাগে মেরামতের জন্য মোবাইল টিম রয়েছে। পাকা সড়কের উঠে যাওয়া কার্পেটিং ও তৈরি হওয়া গর্তগুলো পাথর ও বিটুমিন দিয়ে মেরামত করে থাকে ওই টিম। কিন্তু এখানে তা না করে মাটি দিয়েই প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকায় কাজ করা হচ্ছে।

এলজিইডির কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটির টেন্ডার হয়ে গেছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। যানবাহন চলাচল উপযোগী করার জন্য আপাতত অস্থায়ীভাবে এই সড়কটির খানাখন্দ মাটি দিয়ে ভরাট করানো হচ্ছে।’

Related Articles

Back to top button