দৈনিক খবর

বাণিজ্যিকভাবে অ্যাভোকাডো চাষে সফল আব্দুল মালেক

বিদেশি এই ফল দেশের বিভিন্ন জেলায় চাষ শুরু হলেও যশোরে প্রথমবারের মতো চাষ হয়ছে। মাত্র ১০ শতক জমিতে এই ফলের চাষ করে তিনি সফলতা পান। ২০টি ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ এই ফলের বাগান দেখতে আশের পাশের অনেক মানুষ ভিড় করছেন। প্রথমবারের মতো বিদেশি ফল অ্যাভোকাডো চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষক আব্দুল মালেক।

কৃষক আব্দুল মালেক যশোরের শার্শা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি অনলাইনে অ্যাভোকডোর চাষ দেখে নিজেও চাষ করতে আগ্রহী হন। তারপর হর্টিকালচার থেকে বীজ এনে ১০ শতক জমিতে পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় এই ফলের চাষ শুরু করেন। সাধারনত এই ফল যুক্তরাষ্ট্র ম্যাক্সিকো ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে বেশি উৎপাদিত হয়। অধিক লাভের আশায় বুক বাঁধছে কৃষক আব্দুল মালেক। পুষ্টিগুন ও চাহিদা থাকায় এ ফল বিক্রিও হয় চড়া দামে। ফুল ও ফলে ভরে গেছে ক্ষেত।

কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, আমি অনলাইনের মাধ্যমে এই ফলের চাষ দেখতে পাই। তারপর সাভার হর্টিকালচার থেকে ৩ বছর আগে বীজ এনে ১০ শতক জমিতে শুরু করি পৃথিবীর অন্যতম পুষ্টিগুনে ভরা এই ফল। সাধারনত কলম চারা থেকে ফল ধরতে ৩-৫ বছর সময় লাগে। আর বীজ থেকে প্রায় ৬-৮ বছর সময় লাগে। আমি ফলের পাশাপাশি এই ফলের চারাও বিক্রি করতে পারবো। একটি অ্যাভোকাডোর ওজন প্রায় ৩০০-৭০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। এই ফল চাষে আমার ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ২ লাখ টাকার মতো আয় করতে পারবো। বিদেশ থেকে এনে বাংলাদেশের বাজারে প্রতি কেজি ৮০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হয়। অ্যাভোকাডোর দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও সুস্বাদু।

উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সুমি সুলতানা বলেন, কৃষক আব্দুল মালেক অ্যাভোকাডো চাষে সফল হয়েছেন। অধিক লাভের এই ফল চাষে কৃষকের মধ্যে সাড়া ফেলেছেন তিনি। এই ফল বিদেশ থেকে এনে আমাদের দেশে বিক্রি করা হয়। আগামীতে প্রচুর পরিমানে চাষসহ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে এ ফল বিদেশে রপ্তানির আশা চাষীদের। এখন আমাদের দেশে চাষ শুরু হয়েছে আর বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মন্ডল বলেন, এই ফলটি বিদেশি ফল। প্রতি বছর বিদেশ থেকে আমদানি করে আমাদের দেশে ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। আশা করছি আগামী ৫-১০ বছররের মধ্যে এ ফল দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রপ্তানিসহ কৃষিতে অ্যাভোকাডো বড় ভূমিকা রাখবে। দাম বেশি হওয়ায় এটির বাণিজ্যিক চাষও অত্যন্ত লাভজনক।

Related Articles

Back to top button