Nationalদৈনিক খবর

সাবেক এমপি কামরুল অনেক ক্ষতি করেছেন, তিনি কালো তালিকায় : মন্ত্রী

কৃষক পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে সারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে অনেকেই দুর্ভোগে পড়েছেন এবং চাষাবাদ করতে হিমশীম খাচ্ছেন তবে সরকার সর্বদা বলছে কৃষকদের জন্য সকল সুযোগ সুবিধা তারা দিচ্ছে।এদিকে সার আমদানিতেও দেখা গিয়েছে আত্বসাতের ঘটনা ঘটেছে। সার আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানকে (পোটন) কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সোমবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সার সংক্রান্ত জাতীয় সমন্বয় ও উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়। আব্দুর রাজ্জাক।

এ সময় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আজকের সংবাদপত্র অনলাইন থেকে সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ ফিড অনুসরণ করুন
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাকে (সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ) কালো তালিকাভুক্ত করেছি। তিনি এখানে আমাদের কোনো টেন্ডারে অংশ নিতে পারবেন না এবং অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, “উল্টো তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি তা সঠিক ছিল না। এটা বাংলাদেশের আরেকটি সমস্যা। তবে আমরা খুবই সচেতন। আমাদের চোখ-কান খোলা আছে। তিনি অনেক কিছু করেছেন। ক্ষতি। এটাকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নিচ্ছি না। আমি আপনাকে এতটুকু গ্যারান্টি দিচ্ছি।

সারের দাম ও সরবরাহের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় চাপ দিলেও আগামী অর্থবছরে সারের দাম বাড়ানো হবে না। আগামী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) দেশে ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টন রাসায়নিক সার প্রয়োজন হবে।

এ বছর সারের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানান কৃষিমন্ত্রী। সারের দাম বাড়বে না। কৃষকরা যাতে পর্যাপ্ত সার পায় সেজন্য আমরা চাহিদা নির্ধারণ করেছি। ২০২৩ -২৪ অর্থবছরে সারের নির্দিষ্ট চাহিদার মধ্যে রয়েছে ২ .৭ লক্ষ টন ইউরিয়া, ১ .৬ লক্ষ টন ডিএপি, ৭ . লক্ষ টন টিএসপি এবং ৯ লক্ষ টন এমওপি । যেকোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। সার নিয়ে কোনো সংকট তৈরি হতে দেব না। সারের জন্য কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে উৎপাদন কমে যাবে। গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারের দাম এক টাকাও বাড়াননি।

গ্যাস সংকটের কথা উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, “শাহজালাল সার কারখানার পর থেকে বিসিআইসির সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। গত দুই-তিন বছর ধরে ঠিকমতো গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে না। মাঝে মাঝে সার কারখানা বন্ধ করতে হয়। সার উৎপাদনে খরচ হয় ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা। একটি সার কারখানা বন্ধ করে আবার চালু করার জন্য চাপের প্রয়োজন হয়।দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে কারখানাটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।এ অবস্থার কথা মাথায় রেখে বিসিআইসি উৎপাদন অব্যাহত রাখে।আমরা জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করব পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ রাখার জন্য। চলছে সার কারখানা।

প্রতি বছরই পেঁয়াজের ঘাটতি ছিল। কিন্তু এবার তা হয়নি বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, সার আমদানি নিয়ে সরকার বেশ ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে সেটা মাঝে মধ্যে জানা যাচ্ছে তবে দেখা গিয়েছে এই আমদানি কর্মকাণ্ডেও দুর্নীতি এবং আত্ত্বসাতের ঘটনা ঘটেছে যার মাশুল এখন সরকারকে দিতে হচ্ছে।

Related Articles

Back to top button