দৈনিক খবর

দেশে স্ট্রবেরির বাম্পার ফলন

গত বছরের চেয়ে তিনগুণ জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়েছে। কিন্তু বিদেশ থেকে আমদানি ও উচ্চ মূল্য নিয়ে বিপাকে আছেন জেলার ফল চাষিরা। এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আমের মতো স্ট্রবেরি চাষেও আগ্রহ কমবে চাষিদের। দেশে আমের পর স্ট্রবেরি উৎপাদনেও শীর্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার জেলায় উৎপাদন বেড়েছে ৩ গুণ।

দেশের উৎপাদিত স্ট্রবেরির সিংহভাগই জোগান আসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে। ২০২২ সালে জেলার মাত্র দুইশ বিঘা জমিতে ৪০৫ মেট্রিক টন স্ট্রবেরি উৎপাদিত হয়েছিল।আবার কিছু কিছু এলাকায় আবহাওয়া প্রতিকূল থাকা, ঘন ঘন বৃষ্টি ও সারাদিন কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ থাকায় স্ট্রবেরির ফুল-ফল পচে নষ্ট হয়েছে। এতে উৎপাদনও কম হয়েছিল। এ বছর আবহাওয়া ভালো ও তীব্র শীতের তাপমাত্রা অনুকূলে থাকায় ফলন লক্ষ্যমাত্রা বাড়ার আশা আছে। দেশের বিভিন্ন যায়গায় চাহিদা থাকায় রাজশাহী, নাটোরসহ আরও কয়েকটি জেলায় স্ট্রবেরির চাষ হচ্ছে। ফলে এ বছর বিদেশ থেকে স্ট্রবেরি আমদানির প্রয়োজন হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। হেক্টরপ্রতি ১৫ টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। চাষের জমির পরিমাণ বেড়ে ৭৫৮ বিঘায় হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষিরা বলেন, শিলাবৃষ্টি, ঝড়সহ নানা রোগবালাইয়ের কারণে আমের ফলন আগের মত পাইনা।এ ছাড়া দেশিয় আম বিদেশের বাজারে টিকতে না পারায় রপ্তানিও চাহিদা কমছে। অপরদিকে, স্ট্রবেরি ফল চাষের সময় শীতের মাঝামাঝি হওয়ায় আবহাওয়াজনিত কারণে ক্ষয়ক্ষতি কম। শুধু পরিচর্যা খরচ ও শ্রমিক প্রয়োজন হয়। চাষে ঝুঁকি কম ও লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় স্ট্রবেরির চাষে লাভভবান হচ্ছি আমরা। ফলে সারা দেশেই জনপ্রিয় হচ্ছে ফলটির চাষ। স্ট্রবেরির গাছ আকারে ছোট হওয়ায় সাথী ফসল হিসেবে বিভিন্ন সবজি, পেঁয়াজ, রসুনসহ আবাদ করারও সুবিধা রয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, বিগত বছরের চেয়ে এ বছর স্ট্রবেরি উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে। কৃষকদের স্বার্থে আমদানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট দফতরে সুপারিশ করবেন বলেও তিনি জানান। মানুষের চাহিদা পূরণে দেশিয়ভাবে যেহেতু উচ্চমূল্যের ফলটির আবাদ হচ্ছে, তাই বিদেশ থেকে আমদানি না করাই পরামর্শ আমাদের।

Related Articles

Back to top button