দৈনিক খবর

হাড় কাঁপানো শীত, জায়গা নেই হাসপাতালে

উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে এ অঞ্চলে মেঘলা আকাশ ও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। গত দুই দিন ধরে রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। এ ছাড়া হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

এদিকে, ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি, নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্তরা প্রতিদিনই জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোতে সেবা নিতে ভিড় করছে। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালেও শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এতে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে রোগীরা।

রমেক হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, শীত বেশি হওয়ায় বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এ পর্যন্ত রমেক হাসপাতালের শিশু বিভাগে শীতজনিত রোগে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা পাঁচ শতাধিক ছাড়িয়েছে।

হাসপাতালটি এক হাজার শয্যার হলেও বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় উত্তরের বিভিন্ন জেলায় জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা গেছে। রংপুরের মানুষও চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহে নাকাল। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেক মানুষ। তবে নিম্ন আয়ের মানুষরা শীত উপেক্ষা করে কাজের আশায় বেড় হচ্ছেন।

খড়কুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন দুস্থরা। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার ফলে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সড়ক-মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

শ্রমজীবী সাব্বির মিয়া বলেন, শীতের তীব্রতা বেড়ে চলেছে। গত কয়েক দিন ধরে অনেক ঠাণ্ডা চলছে। কনকনে শীতের কারণে ঘর থেকে বের হতে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কষ্ট আর দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

রংপুরের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানিয়েছেন, চলতি বছরে রংপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। এ অবস্থায় গরম কাপড় ব্যবহারসহ ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে এ অঞ্চলে আরো মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

Related Articles

Back to top button