দৈনিক খবর

গাজীপুরে অতিরিক্ত ডিআইজির বাড়িতে ডাকাতি

আনু হাসান,গাজীপুর থেকে: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা বেলতলী এলাকায় সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এমএ জলিলের বাবা আবদুল বাতেনের গ্রামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৫ ফ্রেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতদল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও পুলিশের ইউনিফর্ম নিয়ে গেছে। অতিরিক্ত ডিআইজি’র বাবা আব্দুল বাতেন জানান, শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের দক্ষিণ বেলতলী গ্রামের বাড়ির দরজার লক ভেঙে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে ৮ থেকে ১০ জনের ডাকাত দল। তারা হাফপ্যান্ট পরা ছিল। কারও মুখে মাস্ক, কারও মুখ কাপড় বাঁধা ছিল। এরপর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে প্রায় তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, নগদ দেড় লাখ টাকা, ছেলের পুলিশি পোশাক (ইউনিফর্ম) লুট করে নিয়ে গেছে।

ঘটনার সময় কেবল তিনি ও তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন। ডাকাত দলের লোকজন তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে জিম্মি করে ফেলে। কোনো শব্দ করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলে আসবাবপত্র তছনছ ও লুটপাট। আবদুল বাতেন আরো জানান, লুটপাট শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের দুজনকে বেঁধে রেখে যেতে চান ডাকাত দলের সদস্যরা। নিজের অসুস্থতার কথা বলে অনুরোধ করার পর তাঁদের না বেঁধেই ডাকাতেরা চলে যায়। পরে বাইরে এসে আশপাশের লোকজনকে ঘটনার কথা জানান তাঁরা।

মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিন্টু মোল্ল্যা বলেন, ডাকাতরা পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল জলিলের বাড়ির পেছন দিকে কাঁটা তারের বেড়া মই দিয়ে টপকে ভেতরে ঢোকে। এরপর তারা আধ পাকা টিনসেড বারান্দায় থাকা থাই গ্লাস খুলে আব্দুল বাতেনের শোয়ার ঘরে ছুরি, শাবল ও রড নিয়ে প্রবেশ করে।

“পরে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুটে করে পালিয়ে যায়।” তিনি বলেন, পরে ওই ডাকাতদল রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুই-আড়াই কিলোমিটার দূরে মাওনা ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের ফয়সাল আহমেদের বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকেও তারা নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে।

ফয়সাল আহমেদ বলেন, “রাত সাড়ে ৩টার দিকে আমার বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। তারা বাড়ির সদস্যদের জিম্মি করে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।” গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম জানান, ডাকাতির ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাকাতরা একবার ডাকাতি করে চলে গেলে আর ধরা সম্ভব হয় নাকি? তারপরও চেষ্টা চলছে।

Related Articles

Back to top button