দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের ইমামের সাথে অবৈধ সম্পর্কের লিপ্ত ছিল হারিয়ে নামের এক নারী। স্বামী ব্যবসার কাজে বাহিরে গেলেই মসজিদের ইমামের সাথে খারাপ কাজ করত সে। তবে তাদের এই অবৈধ কার্যক্রম বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গ্রামবাসির কাছে এক পর্যায়ে ধরা খেয়ে বিহেলা অবস্থা হয় তাদের।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের তেতিয়ারকান্দা গ্রামের আনছার আলীর বাড়িতে হাফিজ আব্দুল হান্নান। একটি মসজিদের ইমাম জামাল হোসেনকে তার স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় জনতা আটক করেছে। গতকাল শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে স্থানীয়রা আনছার আলীর মেয়ে অনিজা খাতুন ও নারায়ণদহ মসজিদের ইমাম হাফেজ আব্দুল হান্নানকে বিপজ্জনক অবস্থায় দেখতে পেয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারধর করে চুল কেটে ফেলা হয় এবং গলায় বোতল ঝুলিয়ে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এলাকাবাসী জানান, জুগনিদহ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নারায়ণদহ মসজিদের ইমাম হাফেজ আব্দুল হান্নান কোরআন।
তিনি পর্ষবর্তী গ্রামের আনছার আলীর বাড়িতে পড়াতে আসা-যাওয়া করতেন। সেই সুযোগে আনছার আলীর মেয়ে অনিজা খাতুন পরকীয়ার প্রেমে পড়েন। অনিজার স্বামী জামাল হোসেনের ঢাকায় একটি গরুর খামারে কাজের সুযোগ রয়েছে
মাঝে মাঝে হাফেজ আব্দুল হান্নান সহবাসে লিপ্ত হতেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার গভীর রাতে অনিজা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হলে প্রতিবেশীরা তাকে ধরে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পরে স্থানীয়রা আনিজা খাতুন ও হাফেজ আব্দুল হান্নানের চুল কেটে গলায় বোতল ঝুলিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল জানান, স্থানীয় লোকজন মসজিদের ইমাম হাফেজ আব্দুল হান্নান ও অনিজা খাতুনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গাছের সাথে বেঁধে, চুল কেটে, গলায় বোতল ঝুলিয়ে রাস্তায় নিয়ে যায়। এলাকার পরে পুলিশ গিয়ে মসজিদের ইমাম অনিজা খাতুনসহ মোট চারজনকে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল মজিদ জানান, ইমাম ও গৃহবধূর চুল কাটার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসী তাদেরকে যেভাবে শিক্ষা দিয়েছে তা সারা এলাকায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা। তাদেরকে পুলিশের কাছে সপর্ধ করার হয়েছে বাকিটা আদালতের সিন্ধান্ত।
