দৈনিক খবর

নিরাপত্তার কারণে আদালতে আনা হয়নি মামুনুল হককে

নিরাপত্তাজনিত কারণে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় অষ্টম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আনা হয়নি। এ কারণে তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকালে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনার কথা ছিল। এদিন তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তিনজনকে সমন দিয়েছিলেন। তারা হলেন, চার্জশিটের ২৩ নম্বর সাক্ষী এ এস আই আনিসুর রহমান, ২৪ নম্বর সাক্ষী এ এস আই কর্ণকুমার হালদার ও ২৫ নম্বর সাক্ষী এ এস আই শেখ ফরিদ। একই সঙ্গে আগের তারিখে অনুপস্থিত থাকা সাক্ষীরাও ছিলেন। কিন্তু মামুনুল হককে না আনায় সাক্ষীরাও আসেনি।

এর আগে ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুলের উপস্থিতিতে জান্নাত আরা ঝরনার সাক্ষ্য নেন আদালত। পরবর্তীতে একই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন জানিয়েছেন, মামুনুল হককে বুধবার সকালে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনার কথা ছিল। আমরাও প্রস্তুত ছিলাম। পরে পুলিশ জানিয়েছে নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে আজ আদালতে আনা হয়নি। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ এই বিষয়ে জানিয়েছেন, বুধবার মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের কথা আছে। তবে তাকে আদালতে আনা হয়নি। কেন আনা হয়নি এটা পুলিশ বলতে পারবে। এর আগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সর্বশেষ ৩ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। এদিন সোনারগাঁ থানার এসআই মো. কোবায়ের হোসেন ও বোরহান দর্জি নামে দুই পুলিশ কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে গত ১৮ এপ্রিল মামুনুলকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল ওই নারী সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

Related Articles

Back to top button