দৈনিক খবর

তাকসিম খানের দুর্নীতি, এবার ওয়াসার সর্বস্তরের কর্মকর্তারা মুখ খুললেন এক সাথে

বাংলাদেশের টক অব দা টাউন এখন ওয়াসার এমডি তাকসিম। তার হাজার কোটি টাকার সম্পদের খবর সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। এ দিকে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের প্রতিবাদে সংগঠনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বলছেন, তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও বানোয়াট।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কাওরান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বিক্ষোভে যোগ দেন ওয়াসার কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ ছড়ানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে কি এক ব্যক্তির পক্ষে 14টি বাড়ি কেনা সম্ভব?

পুরান ঢাকার ওয়াসার প্রথম জোনের কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন বলেন, আমরা স্বেচ্ছায় প্রতিবাদ সমাবেশে এসেছি। সংবাদপত্র মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। স্যার সৎ মানুষ। তিনি দুর্নীতি করতে পারেন না।

ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ির বিষয়ে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দৈনিক সমকাল পত্রিকায় গত ৯ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খান যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ির মালিক বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব বাড়ির দাম পড়বে হাজার কোটি টাকা।

দুদককে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেছে আদালত।

তবে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তাকসিম এ খান দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনো বাড়ি নেই। তার স্ত্রীর নামে একটি বাড়ি আছে। সেখানে ১৪টি বাড়ি থাকার মিথ্যা খবর দেওয়া হয়েছিল।

২০০৯ সালে ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান তাকসিম। এরপর থেকেই তার উত্তান আর ঠেকানো যায়নি। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কোনো এক জাদু বলে বার বার বাড়িয়েছেন নিজের কাজের মেয়াদ। আর এই কারনে বারবার তার পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

Related Articles

Back to top button