দৈনিক খবর

ইজতেমা শেষে যা বললেন ভারতের মন্ত্রী

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আলেমদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করতে হবে। তাদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি হলে উভয় দেশেই সুসন্তান তৈরি হবে। ভারতেও হবে বাংলাদেশেও হবে। কারণ প্রকৃত আলেম কোনো দিন দেশদ্রোহী হতে পারে না। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার উত্তরায় আলমি শূরার (মাওলানা যোবায়েরপন্থি) বিশ্ব ইজতেমা পরবর্তী সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতের মন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মের নামে যারা সহিংসতা ছড়ায় বা যারা মানব বোমায় নিজেকে খতম করে, অন্য সাধারণ মানুষের প্রতি অবিচার করে, দেওবন্দের ভাষায় এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। তিনি বলেন, আমার জানামতে ইজতেমা ময়দানের জায়গাটুকু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়ে গেছেন। তিনি জায়গাটি দিয়ে একটি সদকায়ে জারিয়ার কাজ করে গেছেন। আমরা চাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার স্বপ্ন পূরণে এ দেশের আলেমদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন। ইজতেমা ময়দানের দলিল, রেকর্ড, ম্যাপ হয়ে গেলে ওই ময়দানটা হাত ছাড়া হবে না। ময়দানের পাকাপোক্ত কাগজপত্র, সীমানা নির্ধারণ হয়ে গেলে জায়গাটা কেউ দখল করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, তাবলিগ জামাতের যে শৃঙ্খলা, এটা সারা পৃথিবীর কাছে একটা মডেল। কেউ স্বীকার করবেন, কেউ করবেন না সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। ইসলাম ধর্মের শিক্ষা ও বুজর্গদের দ্বীনের নীতি আদর্শ হলো তাদের পাথেয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখানকার সরকারে যারা আছেন ইজতেমার ব্যাপারে তারা খুবই আন্তরিক। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যে আন্তরিকতা পরিলক্ষিত হলো এটাও উল্লেখযোগ্য।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিব হাসান, তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি নাদিম হাসান, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, আব্দুল কুদ্দুস, বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, তাফাজ্জল হক আজিজ, নাজমুল হোসেন, লোকমান মাজহারী, মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, জয়নাল আবেদীন, মুফতি মাসউদুল করীম, মতিউর রহমান গাজীপুরী, জাবের কাসেমী, মুফতি জহির ইবনে মুসলিম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ১৯৬৩ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবছর অনুষ্ঠিত ইজতেমা বিশ্ব মুসলিমের গণজমায়েতের ৫৭তম আসর। ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইজতেমা এক পর্বে তিন দিন ধরে অনুষ্ঠিত হতো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিরা এই ইজতেমায় অংশ নেন বলে এটি বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিতি পায়। মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২০১০ সাল থেকে দুই দফায় তিন দিন করে ইজতেমার আয়োজন করা হতো। কিন্তু মাওলানা সাদকে ঘিরে বিরোধের কারণে ২০১৮ সাল থেকে আলাদাভাবে দুই পক্ষ আলাদাভাবে তিন দিন করে ইজতেমার আয়োজন করা শুরু করে।

Related Articles

Back to top button