দৈনিক খবর

কুমিল্লায় চাষ হচ্ছে মরুভূমির দেশের ফল ‘সাম্মাম’

মরুভূমির দেশের ফল ‘সাম্মাম’ এখন চাষ হচ্ছে কুমিল্লায়। জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মাঠে চাষ করা হচ্ছে এই ফল। বলরামপুর গ্রামের কাজী আনোয়ার হোসেন সাম্মাম চাষে সফলতা পেয়েছেন। ফলটি কিনতে ও দেখতে আনোয়ার হোসেনের বাগানে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। সাম্মাম ফল দেখতে অনেকটা তরমুজের মতো। তবে এর ঘ্রাণ বাঙ্গির মতো, ভালো মিষ্টি, ওপরটা ধূসর এবং ভিতরটা হলুদ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালচিং সিটের ভিতরে চারা লাগিয়েছেন। মাচায় গাছ তুলে দেয়া হয়েছে। নেটে বাধা হয়েছে ছোট বড় সাম্মাম। হালকা বাতাসে দুলছে সারি সারি সাম্মাম। কোনটির ওজন তিন কেজির বেশি। ক্ষেতজুড়ে পাকা সাম্মাম ঘ্রাণ ছড়িয়ে আছে। ভিড় করেছেন ক্রেতারা। সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মনির হোসেন বলেন, অনলাইনে সাম্মাম দেখেছেন। কখনও এই ফল খাননি। তাই তিনি এই ফলটি কিনতে এসেছেন। পাশ্ববর্তী বলরামপুর গ্রামের মোজ্জামেল হক বলেন, এই ফল দেখতে সুন্দর এবং খেতেও বেশ মিষ্টি।

কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান বলেন, গাছে সাম্মাম ফল আসতে ৯০দিন সময় লাগে। এটি দেখতে ধূসর রঙের হলেও এটির ভিতরে হলুদ ও স্বাদে কড়া মিষ্টি। তিনি ৪০ শতক জমিতে সাম্মাম চাষ করেছেন। তার ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। তিনি বিক্রি শুরু করেছেন। আশা করছেন ৩ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এটি মরুর অঞ্চলের ফল। সেখানে এটিকে সাম্মাম বলে। এটিকে কেউ রকমেলন বা সুইটমেলনও বলে। সাম্মামে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যা’রোটিন রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ভি’টামিন সি, পটাশি’য়াম, ফলিক অ্যাসি’ড, ক্যাল’সিয়াম, ম্যাগনে’শিয়াম, ফস’ফরাস, জি’ঙ্ক, কপার ও ম্যা’ঙ্গানিজ প্রভৃতি।

তিনি বলেন, আনোয়ার হোসেন উদ্যোমী চাষি। এর আগেও তিনি কালো ও হলুদ তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন।-বাসস

Related Articles

Back to top button