দৈনিক খবর

আমাদের আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী নির্বাচন: কাদের

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী নির্বাচন। সেটা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে হবে বলে নির্বাচন কমিশন আভাস দিয়েছে।

তিনি বলেন, সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে করণীয় সম্পর্কে বৃহস্পতিবার এমপিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশ আমরা পালন করছি। একইসঙ্গে আমরা বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা করছি।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ পৃথিবীর বহু দেশেই সংকট। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়াও আছে। ইউরোপে পর্যন্ত রেকর্ড ভাঙা সংকট। আমেরিকায় সংকট। সেখানে সরকার সম্পর্কে নানা কথা থাকে, সমালোচনাও থাকে। কিন্তু সেখানে প্রেসিডেন্টে বাইডেনের পদত্যাগ দাবি করে না। তবে আমাদের দেশে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনের দাবি করা হয়। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করা হয়। পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।

তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত— এ কথা আমি বলব না। আমাদের গণতন্ত্র বিকাশমান পর্যায়ে রয়েছে। আমরা ভুল-ত্রুটি সংশোধন করতে পারব এবং বিকাশের ধারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। রাতারাতি এটির পরিবর্তন সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর এ দেশে বলতে গেলে গণতন্ত্র ছিল না। গণতন্ত্র ছিল শৃঙ্খলিত। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে প্রথমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন। শেখ হাসিনার দুঃসাহসিকতায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং জেলা হত্যার বিচার হয়েছে। এসব অসম্ভব কাজগুলো তিনি সম্ভব করতে পেরেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বব্যাংক অপবাদ দিয়ে চলে গেছে। শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে ঘোষণা দিয়েছেন দেশের টাকায় পদ্মা সেতু হবে এবং হয়েছে। এই পদ্মা সেতুতে প্রতিদিন আমরা দুই কোটি দশ থেকে ১৫ লাখ টাকা টোল পাচ্ছি। তারপর মেট্রোরেল হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নানা বয়সের মানুষ এটি দেখতে আসছে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে টানেল হচ্ছে। যেটি দক্ষিণের এশিয়ার কোথাও নেই। আমি প্রথম যখন এলাকাটি দেখতে যায় তখন দাঁড়িয়ে মনে হয়নি এরকম একটা কিছু হতে পারে। সাংহাইয়ের মতো চট্টগ্রাম হচ্ছে ওয়ান সিটি টু টাউন। এ টানেলে ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। কাজের অগ্রগতি ৯৫ দশমিক ৫ শতাংশ। টানেলের কারণে কক্সবাজার আরও কাছে চলে আসবে।

মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম আরও এগিয়ে যাবে। চট্টগ্রাম আমাদের প্রাণের স্পন্দন, অর্থনীতির স্পন্দন। আমাদের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। জাতীয় অর্থনীতিতে চট্টগ্রামের অবদান আমরা স্বীকার করি। টানেল হয়ে গেলে চট্টগ্রামে জাদুকরী পরিবর্তন আসবে।

Related Articles

Back to top button