স্বামী -স্ত্রীর আচরণের সৌন্দর্য – পুরুষ পর্ব
বিয়ে করার মধ্যে দিয়ে আপনি একজন নারীর জীবনসঙ্গী হয়েছেন ।আপনার সারা জীবনের সাথীটি নির্বাচনের সময় আল্লাহভীরু ও গুনবতী সাথী নির্বাচনের চেষ্টা করবেন ।বিয়ের পর আপনার সঙ্গীর রুচি ও চাহিদার সাথে সমন্বয় করে একজন প্রিয়তম ও ভালো স্বামী হবার চেষ্টা করুন ।
এভাবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন –
১ .আল্লাহতায়ালা আপনাকে একজন স্ত্রী দান করেছেন এজন্য শুকরিয়া আদায় করুন ।
২.স্ত্রীকে বুঝবার চেষ্টা করুন ।তার জ্ঞান -বুদ্ধি ,মন -মানসিকতা ,স্বভাব- প্রকৃতি, দক্ষতা- গুণাবলী দোষ ত্রুটি জেনে নিন ।
৩.তার প্রিয় ও অপ্রিয় বিষয়গুলি জেনে রাখুন ।এবং তা বুঝে চলুন ।
৪.তাকে আপনার মনের মত গড়ে তুলুন ভালোবাসা দিয়ে ।
৫ .তার যোগ্যতা ,প্রতিভা ও গুণাবলী বিকাশে সহায়তা করুন ।
৬.তার মাঝে যে সব দোষ ও ত্রুটি আছে কৌশলে সারিয়ে তুলুন ।
৭.তাকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসুন ।গভীরভাবে ভালোবাসুন ।বিবাহপূর্ব অন্য কোনো সম্পর্ক থালে ঝেঁটিয়ে বিদায় দিন মন থেকে ।ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধূয়ে ফেলুন ।এবং স্ত্রীকে ভালোবাসুন ।৮.সবসময় হাসি মুখে খুশি মনে কথা বলুন ।
৯.তাকে সাথে নিয়ে বেড়াতে যান ।
১০.চমত্কার ও ভদ্র আচরণ করুন ।তার যে কাজ কিংবা গুণ আপনার ভালো লাগে তার প্রশংসা করুন ।
১১.তার কাছে ভরসাপূর্ণ ,বিশ্বস্ত ও ব্যক্তিত্ববান হোন ।
১২.স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে কাজ করুন ।এমন নয় যে তার কথাই শুনতে হবে ।দুজনে মিলে সম্ভাব্য সকল দিক যাচাই-বাছাই সিদ্ধান্ত নিন ।
১৩.তার অবদানের স্বীকৃতি দিন ।
১৪.তার মানসিক ও জৈবিক দাবী পূরণ করুন ।
১৫.কথা -কাজে রাগে -অনুরাগে তার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন ।
১৬.স্ত্রীর ছোটো খাটো ত্রুটি বিচ্যুতি উপেক্ষা করুন ।
১৭.তার ভালো দিক গুলো বিবেচনা করে মন্দদিক গুলি ভুলে থাকুন ।
১৮.নিজেকে স্ত্রীর কাছে পরিছন্ন রাখুন ।তার সাথে লুকোচুরি খেলবেন না ।
১৯.তার আবদার রক্ষা করুন ।২০.আপনার জন্য কষ্ট করলে ধন্যবাদ জানান ।
২১.তাকে বিশ্বাস করুন ,তার প্রতি আস্হা রাখুন ।
২২.মাঝে মাঝে উপহার দিন ।
২৩.সাধ্যানুসারে খাওয়া পরার ব্যবস্হা করুন ।
২৪.স্ত্রীর মন রক্ষা করুন ।
২৫.নিজের দায়িত্ব ও সংকট নিয়ে প্রয়োজন মত তার সাথে আলোচনা করুন ।নিজের কর্মব্যস্ততার পরিধি তাকে জানিয়ে রাখুন ।
২৬ .তাকে নিয়মিত হাতখরচ দিন ।
২৭.সমোঝতা করে সংসার চালানোর দায়িত্বও স্ত্রীকে দিতে পারেন ।
২৮.তার উপার্জিত অর্থ তাকেই খরচ করতে দিন ।আপনি সেখানে হস্তক্ষেপ করবেন না ।