Countrywideদৈনিক খবর

ওই ব্লুমবার্গের ফোরটুয়েন্টি মার্কা রিপোর্ট দিয়ে কোনো কাজ হবে না, ওনাকে কাঁদতে কাঁদতে ঘরে যেতে: মান্না

আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা ধরনের বিতর্ক। নির্বাচন কমিশন বহুবার আসন্ন নির্বচনে বিরোধী  দলগুলোকে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান করার পরেও তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তারা এই সরকাররের অধিনে কখনোই নির্বাচনে অংশ নিবে না। এই বিষয় গুলো উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না একটি বক্তব্য বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তিনি বলেছেন, সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘরে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন জানে যে বিরোধী দলগুলো ইতোমধ্যে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। তারপরও তারা নির্বাচনের ডাক দিচ্ছে। কারণ বিশ্বকে দেখাতে হবে তারা সব দলকে নির্বাচনে আসার চেষ্টা করছে। আমি বলব এটাকে প্রচেষ্টা বলে না, নির্বাচনের নামে ৪২০ । যতদিন তিনি থাকবেন আমরা তার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না।

সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র মঞ্চ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

সরকার ও শাসন পরিবর্তন এবং প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মান্না বলেন, ব্লুমবার্গের ওই ফোরটোয়েন্টি মার্কা রিপোর্ট নিয়ে কোনো কাজ হবে না। দেশ অনেক উন্নত! বেকারত্ব কমেছে ৫ কোটি! এখানে যারা আছেন তারা বলছেন আপনার পরিবারের কত লোক গত পাঁচ বছরে চাকরি পেয়েছে। হয়তো দু-এক জন পুলিশের কাছে যাবে। এছাড়া কেউ চাকরি পাননি। আপনি যাই বলুন না কেন, জনগণ আর আপনাকে (আওয়ামী লীগ) পছন্দ করে না।

সরকার জনগণের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না মন্তব্য করে নাগরিক সংঘের সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন আমার পেটে ক্ষুধার আগুন জ্বলবে। তারা খাবার দিতে পারে না। একবার কাপড়ের অভাব হলে তারা নতুন জামা দিতে পারবে না। তারা সড়ক নিরাপত্তা দিতে পারে না। তারা জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না। তারা চাকরির নিরাপত্তা দিতে পারে না। আপনি যতই চিৎকার করুন না কেন, এই সরকারের সে ক্ষমতা নেই। কারণ তাদের কাছে টাকা নেই। এমনকি বিদেশী দেশও তাদের বিশ্বাস করে না।

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জনঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ভাসানী আনসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ। সংহতি আন্দোলনও বক্তব্য রাখেন। প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক বক্তব্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলেন, আগামীতে ব্যাপক ষড়যন্ত্র হতে পারে আপনারা সবাই সতর্ক থাকবেন। বিএনপি যদি এই নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে তাদের অস্তিত্ব ধরে রাখা কষ্ট সাধ্য হবে। আমাদের চিন্তা নেই জনগন আমাদের পাশে আছে।

Related Articles

Back to top button