স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যস্বাস্থ্য টিপস

সারা সপ্তাহ সুস্থ থাকতে শুক্রবার ছুটির দিন করুন এই কাজগুলো

সপ্তাহান্তে আজ সবাই একটু গা ছেড়ে আরাম করে নিচ্ছেন। কেউ বা ডায়েট ভেঙ্গে বেশ করে মজার মজার খাওয়া দাওয়া করছেন। স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হচ্ছে তা কি চিন্তা করছেন একটুও? জেনে রাখুন, সারা সপ্তাহ স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফের শুক্রবার যা ইচ্ছে তাই করলে মোটেই কাজ হবে না।

তাই শুক্রবারেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখতে মনে রাখুন এই কয়টি টিপস।

১) চাপ রাখুন কম

সারা সপ্তাহ পড়াশোনা, অফিসে ছোটাছুটির পর সবাই ভাবেন সপ্তাহান্তে আত্মীয় এবং বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতেই হবে। আসলে কিন্তু এটা এমন বাধ্যতামূলক কিছু নয়। আপনি চাইলে অবশ্যই তাদের সময় দেবেন, কিন্তু তা করতে গিয়ে যেন নিজেকে বেশি ক্লান্ত করে না ফেলেন। ছুটির দিনে চিন্তা করুন নিজের কথা। আপনি কী করতে চান? ঠিক সেটাই করুন।

২) ব্যায়াম করুন, তবে বেশি নয়

সারা সপ্তাহ ব্যায়াম করার শক্তি থাকে না। তাহলে শুক্রবারেই বেশ কিছুটা সময় ব্যায়াম করে নিন। এতে শরীরটা বেশ ভালো লাগবে। ফলে সপ্তাহের অন্যান্য দিনেও ব্যায়াম করার উতসাহ পাবেন আপনি। তবে সাবধান। হুট করে খুব বেশি ব্যায়াম করতে গেলে আপনিই আহত হতে পারেন। এ কারণে শরীরের অবস্থা বুঝে ব্যায়াম করুন।

৩) সপ্তাহান্তে বেশি খাবেন না

অনেকেই ভাবেন সারা সপ্তাহ কঠিন ডায়েট মেনে চলে আজ একটু খাওয়া দাওয়া করাই যেতে পারে। কিন্তু তা করতে গিয়ে নিজের সারা সপ্তাহের ডায়েট জলাঞ্জলি দেওয়া যাবে না মোটেই। খেতে বেশি ইচ্ছে করলে নিজের পছন্দের বেকারিতে গিয়ে এক টুকরো কেক কিনে খান। বাড়িতেই একগাদা চিপস, কুকি খাওয়ার চাইতে এই কাজটায় বেশি ভালো থাকবে আপনার মন ও শরীর।

এ ছাড়া অন্য কিছু কাজও করতে পারেন যাতে খাওয়ার ওপর থেকে আগ্রহ অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া যাবে। যেমন নতুন একটা মুভি দেখা, স্পা ম্যাসাজ বা ফেশিয়াল করানো ইত্যাদি।

৪) রুটিন ভাঙবেন না

অনেকেই ভাবেন সারা সপ্তাহ রুটিনের মাঝে থেকে শুক্রবারে একটু রিল্যাক্স করা যাবেই। এছাড়া টুকিটাকি পড়ে থাকা কাজ শেষ করতে গিয়ে রুটিন ঠিকমতো মেনে চলাও যায় না।

কিন্তু রুটিন ঠিক মেনে চলতে না পারলেও চেষ্টা করুন বড় কোনো পরিবর্তন না আনতে। যেমন বাইরে বেড়াতে গেলেও অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া করবেন না এই দিনে।

একটু দেরি করে খাওয়া দাওয়া করলেও তার পরিমাণ ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও চেষ্টা করুন শুক্রবারের জন্য সব কাজ না জমিয়ে রেখে সারা সপ্তাহেই একটু একটু করে পরিবারকে সময় দেবার।

Related Articles

Back to top button