দৈনিক খবর

বিদেশ নয়, দেশেই মুরগি পালনে চমক দেখালেন মনিরুজ্জামান

নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তি দিয়ে আজ তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা। বর্তমানে নিজে মুরগি পালনের পাশপাশি অন্যকেও মুরগি পালন বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ভিয়াইল গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান। উন্নত জীবনযাপনের জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশে। কিন্তু সেখানেও খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে দেশে ফিরে এসে মুরগি পালন শুরু করেন। নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছেন।

দেশে চলে আসার পর আর্থিক সংকটে পড়েন। হতাশ না হয়ে ইউটিউবে দেশের বিভিন্ন স্থানে লেয়ার মুরগির খামার দেখে নিজেও খামার করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। স্বল্প পুজি নিয়ে শুরু করলেও এখন তিনি সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করছেন। বর্তমানে তার খামারে স্থানীয়ভাবে ১৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে ।

উপজেলার ভিয়াইল গ্রামের মনিরুজ্জামান বলেন, অর্থ উপার্জনের জন্য ২০০৫ সালে আবুধাবি পাড়ি জমাই। কিন্তু দীর্ঘদিন কাজ করেও নিজের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন করতে পারছিলামনা তাই ২০০৯ সালে দেশে ফিরে আসি এবং চরম অর্থ সংকটে পড়ি। এরপর ইউটিউব ভিডিওতে দেশের বিভিন্ন স্থানে উন্নত জাতের মুরগির খামার দেখে উদ্বুদ্ধ হই। শুরুতে ২০০ মুরগি কিনে খামার শুরু করি। সেই যে পথচলা শুরু আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে আমার ফার্মে প্রায় ১৬ হাজার মুরগি রয়েছে। এর মধ্য থেকে প্রতিদিন ২ হাজার ডিম পাচ্ছি। এছাড়াও ডিম থেকে প্রতিমাসে ২৮-৩০ হাজার বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। যা ২৬-৩৫ টাকা দরে স্থানীয় বাজারসহ জেলার আশেপাশের জেলাশহরগুলোতে বিক্রয় করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার অনেকেই মুরগি পালন শুরু করেছেন। স্থানীয় খামারিদের মুরগি পালন বিষয়ক বিভিন্ন সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। স্বল্প থেকে শুরু করে বাণিজ্যিকভাবে খামারিরা মুরগি পালনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি সফলতাও পাচ্ছেন।

Related Articles

Back to top button