দৈনিক খবর

বিশ্ব ইজতেমায় দলে দলে আসছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা

এবার রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে টঙ্গীর কহর দরিয়াখ্যাত সোনাবানের শহর তুরাগ নদের তীরে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে আলমি শূরার তত্ত্বাবধানে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইজতেমাকে সামনে রেখে এখন লাখো মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে তুরাগ নদের পূর্বতীর।

এদিকে দুই বছর পর টঙ্গীর ময়দানে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ায় অনেক মুসল্লির মুখে স্বস্তির হাসি লক্ষ্য করা গেছে। এ উপলক্ষে শিল্পনগরী টঙ্গী সেজেছে নতুন সাজে। এরই মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও বিদেশ থেকে তাবলিগ অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইস্তেমায়ি সামানা নিয়ে ময়দানে জড়ো হচ্ছেন।

আগামী ১৩ জানুয়ারি ইজতেমা শুরু হলেও বুধবার থেকেই ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিরা দলে দলে আসতে শুরু করেছেন এবং নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে ১৫ জানুয়ারি দুপুরে অর্থাৎ জোহরের নামাজের আগে যেকোনো এক সময় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটবে।

মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব তথা এবারের বিশ্ব ইজতেমা। এরই মধ্যে ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা তুরাগ নদে ৫টি ভাসমান পন্টুন সেতু নির্মাণ করেছেন।

১৬০ একর ময়দানের ওপর নির্মিত সুবিশাল প্যান্ডেলের কাজ, খুঁটিতে নম্বর প্লেট, খিত্তা নম্বর, জুড়নেওয়ালি জামাতের কামরা, মুকাব্বির মঞ্চ, বয়ান মঞ্চ, তাশকিল কামরা, বধির সাথিদের জন্য বিশেষ কামরা, পাহারা ও এস্তেকবালের জামাত তৈরি, হালকা নম্বর বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তবে ইসলামি সম্মেলনে নারী-পুরুষের সহাবস্থান ইসলামি শরিয়ত বিধিসম্মত না হওয়ায় এ দফার ইজতেমার ময়দানে মাস্তুরাত (মহিলাদের) কামরা রাখা হয়নি।

আগত নারী মুসল্লিরা ময়দানের চারপাশের বাসাবাড়িতে বসে মুরব্বিদের বয়ান শুনতে পারবেন। আগত মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে বয়ান শোনার জন্য পুরো ময়দানে শব্দ প্রতিধ্বনিরোধক প্রায় ৩২০টি বিশেষ ছাতা মাইক, ২শ ইউনিসেফ (প্রতিধ্বনি প্রতিরোধক) মাইকসহ প্রায় সাড়ে পাচঁশ মাইক স্থাপন করা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button