দৈনিক খবর

শিক্ষকের বাড়িতে অনশনে ছাত্রীর মা, বললেন উপায় নেই

বর্তমান সময়ে পরকীয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে, যার কারণে জটিল পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে। অনেক সময় পরকীয়ার জেরে বিয়ের দাবি নিয়ে কিশোরী কিংবা তরুণীকে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করতেও দেখা যায়। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালী সদর উপজেলার একটি গ্রামে। স্ত্রীর দাবি নিয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বাড়িতে অনশন করছেন এক শি”শু শিক্ষার্থীর মা।

শনিবার (২৫) ভোরে ওই ইউনিয়নের শ্রীরামপুর ডাকাতিয়া খালগোরা গাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তের নাম আব্দুর রশিদ (৫০)। তিনি পূর্ব কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, প্রায় ছয় বছর আগে মেয়েকে নিয়ে ওই স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় রশিদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক স”ম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই কারণে, তিনি বেশ কয়েকবার অন্ত:সত্বাও হয়েছিলেন কিন্তু সেটা রাখা যায়নি। আমাদের বিয়ের আকদ হলেও কাবিন হয়নি। এটা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।

এদিকে অভিযুক্তের স্ত্রী তানিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা, প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁ”/সানোর জন্য এই নারীকে নিয়ে এ নাটক করছে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের ভাবি মোরশেদা জানান, “আমার দেবর রশিদ তিনবার বিয়ে করেছে। এই মহিলা সত্যি বলতে পারেন। তার চরিত্র ভালো না।

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক। শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষ”ড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ওই মহিলার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। এই মহিলা আমার বিরুদ্ধে খারাপ কাজের মামলা করছে। সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আমাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

সাইদুল ইসলাম যিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন, তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, যতদূর জানি শিক্ষক রশিদ দুইটি বিয়ে করেছেন। তার স্বভাব খুব বেশি ভালো নয়। তাতে আমরা এটা মনে করছি যে, অনশন করতে আসা রাবেয়া সঠিক আছে। তবে এক্ষেত্রে কোনো প্রমাণাদি না থাকায় আমরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছিনা।

Related Articles

Back to top button