গাইবান্ধা উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ডাকাত নেই: ইসি
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা খানম জানিয়েছেন, চরম অনিয়মে বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ফের ভোটে কোনো অনিয়ম ধরা পড়েনি। তিনি বলেছেন, গত ১২ অক্টোবরের উপ-নির্বাচনে চরম অনিয়ম হলেও আজকের ভোটে এ পর্যন্ত মাঠে ডাকাত দেখিনি। বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিসিটিভি মনিটরিং কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
ইসি রাশেদা বলেন, গত ১২ অক্টোবর এই আসনে অনিয়মের কারণে ভোট বন্ধ করা হয়েছিল। আজ পুনর্ভোট হচ্ছে। সেই ভোটে আমরা ঢাকা থেকে সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণে দেখতে পাচ্ছি, ইভিএমে ভোট নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই। ভোট আমাদের দেখামতে ভালো হচ্ছে, সুন্দর হচ্ছে। এ পর্যন্ত গতবার যে সিচুয়েশন দেখতে পেয়েছিলাম তেমন কিছু আমরা দেখতে পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, এবার ভোটকেন্দ্রে ডাকাত নেই। আমরা গতবারের মতো এ পর্যন্ত মাঠে ডাকাত দেখিনি। ভোটাররা সুন্দরভাবে পরিচিতি শনাক্ত হওয়ার পর গোপন বুথে যাচ্ছেন এবং ব্যালট ইউনিটে নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছেন। সেখানে অন্য লোকের ভোট দেওয়ার বিষয়টি এখনো আমাদের চোখে পড়েনি। রাশেদা খানম আরও বলেন, ভোট শুরুর প্রথম কয়েক ঘণ্টায় ভোটার উপস্থিতি ১০ শতাংশের মতো। প্রচণ্ড শীত, আবার চরাঞ্চল খুবই দুর্গম জায়গা। এজন্য এখন পর্যন্ত উপস্থিতি একটু কম। আশাকরি ভোটার উপস্থিতি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে।
সিসি ক্যামেরা কারণে অনিয়মকারীদের অনিয়মে আগ্রহ অনেকাংশে প্রশমিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে অনিয়ম ধরা পড়লে ভোটগ্রহণের চার ঘণ্টার মাথায় ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫১টিতে ভোট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ভোট শেষের দেড় ঘণ্টা আগেই সব কেন্দ্রে ভোট বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২৩ জুলাই মারা গেলে তার সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়ম চিত্র সামনে এলে ভোট চলাকালেই নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় ইসি।