দৈনিক খবর

সংযুক্ত আরব আমিরাতে অ’জ্ঞা’ত অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রবাসীদের মনে ক্ষো’ভ!

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে ব’সে’ছে ‘রিয়েল হিরোস অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান। ১৫ জানুয়ারি রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজনে অংশ নিতে মধ্যপ্রাচ্যের শহরটিতে পৌঁছেছেন ঢাকাই সিনেমার একঝাঁক তারকা। খবর সময় টিভি

আজমানে উইনার স্পোর্টস ক্লাবে এ ইভেন্ট হওয়ার কথা রয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ থেকে ছুটে এসেছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান।

এ ছাড়াও একই মঞ্চে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, অভিনেত্রী তমা মির্জা, চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার রায়হান রাফীসহ বেশ কয়েকজন তরুণ শিল্পীর থাকার কথা রয়েছে। তবে চিত্রনায়িকা পরীমণি ও নায়ক শরিফুল রাজ থাকার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তারা অনুষ্ঠান থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

তবে এই ইভেন্ট ঘিরে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিটি ও প্রবাসীদের মাঝে। তাদের দাবি, অনুষ্ঠানের আয়োজকরা একটি প্রতারক চক্র। তারা মূলত কোনো ইভেন্ট নয়, একটি প্র;তারণার ফাঁ;দ তৈরি করতে আমিরাত এসেছে। পাশাপাশি বিপুল টাকা সাদা করতে তারা মিশন নিয়ে কাজ করছে।

২০২১ সালের শেষের দিকে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একই আয়োজকরা আরও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। তবে সেটা নিয়েও তুমুল বি;ত;র্ক তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ কমিউনিটির মাঝে। এবারের অনুষ্ঠানটিও ঠিক একই বি;ত;র্কে;র জন্ম দিয়েছে বলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন।

মূলত এ অনুষ্ঠানে খ্যাতিমান অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে আসা হলেও প্রচার-প্রচারণায় তেমন বেশি মনোযোগ ছিল না আয়োজকদের। কী কারণে এমন রহস্য, তা নিয়েও প্রবাসীদের মাঝে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। গতবারের অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেও এবার কোনো মন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না বলে জানা গেছে।

এদিকে ইভেন্ট সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি জানান, গতবারের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিল একজন শিল্পপতির কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে। চেকের বিনিময়ে ওই শিল্পপতি ২ লাখ ৬৫ হাজার দিরহাম ধার দিলেও এখন পর্যন্ত ওই টাকা পরিশোধ করা হয়নি।

ক্যাপ্টেন মাসুদ নামে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ডাইরেক্টর ও বর্তমানে ইভেন্ট অর্গানাইজার মালা খন্দকার এই টাকা গ্রহণ করেছিলেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে। কিন্তু টাকা এখনও পরিশোধ না করে পুনরায় ইভেন্ট আয়োজন করায় ওই শিল্পপতির সঙ্গে মালা খন্দকারের বা;গ্‌;বি;ত;ণ্ডা হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আশ্বাসে মালা খন্দকার আজমানে ইভেন্ট আয়োজন করতে পারছেন।

এই অনুষ্ঠানে খ্যাতিমান শিল্পীদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন বিভাগে সম্মাননা দেয়ার কথা থাকলেও এটি নিয়েও রয়েছে নানা বি;ত;র্ক। বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃত্ব স্থানীয় নেতারা বলছেন, ‘এ আয়োজনের মাধ্যমে মূলত টাকার বিনিময়ে অ্যাওয়ার্ড বিক্রি করা হচ্ছে। অ্যাওয়ার্ড শো-র আয়োজককে ঘিরেও বাতাসে ভাসছে নানা গুঞ্জন।’

তবে আয়োজক মালা খন্দকারের ভাষ্য ভিন্ন। তিনি বলছেন, যারা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করেন তাদের জন্য এ আয়োজন। এ আয়োজনের মাধ্যমে যদি সঠিক মানুষ অ্যাওয়ার্ড পায়, অন্যরা তাতে উৎসাহিত হবেন।

এদিকে স্থানীয় কয়েকজন ইভেন্ট অর্গানাইজার জানান, নানা প্রতারণার কারণে আমিরাতে বাংলাদেশিদের সুনাম ক্ষু;ণ্ন হচ্ছে। ফলে বড় বড় স্পন্সর বাংলাদেশি কোনো ইভেন্টে স্পন্সর করতে চায় না। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ইভেন্টে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রবাসে অবস্থানরত ইভেন্ট অর্গানাইজাররা। ইভেন্টের নামে প্র;তারণা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

Related Articles

Back to top button