দৈনিক খবরসারাদেশ

লোকসানে বন্ধ হচ্ছে পোল্ট্রি মুরগির খামার

এবার পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চা ও খাবারের দাম বাড়ায় লোকসানের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দেশের অনেক খামার। আর যেসব চালু আছে, সেগুলোও চলছে ধুকে ধুকে। একে একে খামার বন্ধ হওয়ায় ডিম ও মুরগির বাজার চলে যাচ্ছে সাধারণের নাগালের বাইরে। খামারিদের অভিযোগ, নজরদারি না থাকায় এই খাত চলে গেছে কিছু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের হাতে।

এদিকে বছর দশেক আগে টাঙ্গাইলে ১৫ হাজার মুরগির খামার থাকলেও, এখন কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজারে। লোকসানের ঝুঁকিতে এসব খামারও বন্ধের পথে। টাঙ্গাইল পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেছেন, মুরগির বাচ্চা ও খাবারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান। চাহিদা মতো বাচ্চা সরবরাহ না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে ব্যবসা থেকে সরে যাচ্ছেন তারা।

কিশোরগঞ্জে ২ হাজার ৩শ পোল্ট্রি খামারের বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে গেছে। এক বছরের মধ্যে মুরগির খাদ্যের দাম দ্বিগুণ আর ওষুধের দাম বেড়ে হয়েছে ১০ গুণ। এ অবস্থায় এ ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। সোনালি মুরগি উৎপাদনে শীর্ষস্থানে থাকা জয়পুরহাটেও নাগালের বাইরে মুরগির বাজার। দুই মাসের ব্যবধানে ১৮০ টাকা কেজি দরের মুরগি বেড়ে হয়েছে তিনশ টাকা।

পাবনায় গত ছয় মাসে নতুন করে বন্ধ হয়েছে পাঁচশ খামার। ফলে মুরগির উৎপাদন ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় অস্থির হয়ে পড়েছে ডিম ও মাংসের বাজার। লক্ষ্মীপুরে দুই বছরে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন পাঁচশ খামারি। তাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে বাচ্চা ও খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় উৎপাদন খরচ তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ায় পুঁজি হারানোর শঙ্কায় জেলার দুই হাজার খামারি।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, কয়েকটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি হয়েছে পড়েছে এই খাত। এমন অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নে‌ওয়া না হলে ডিম ও মুরগির বাজারে স্বস্তি মিলবে না সহজে।

Related Articles

Back to top button