দৈনিক খবর

আমি দেশে হিন্দি ছবি চালানোর পক্ষে: রিয়াজ

জনপ্রিয় নায়ক রিয়াজ দেশের সিনেমা হল সচল করতে ও হলের সংখ্যা বাড়াতে ভারত থেকে হিন্দি ছবি আমাদনি করে প্রদর্শনের পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত হিন্দি ছবি চালানোর পক্ষে। এটা করতে পারলে হল সচল হবে। ব্যবসা করতে অনেক প্রযোজক ফিরে আসবেন নতুন নতুন সিনেমা বানাতে। গতকাল শনিবার (২৮ জানুয়ারি) এফডিসিতে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সমিতির নেতাদের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন নায়ক রিয়াজ।

বৈঠকে শেষে তিনি জানিয়েছেন, আলোচনার বিষয় ছিল হল বাড়ানো। আমাদের ১২শ’ হল কমতে কমতে এখন ৫০-৬০টিতে এসে ঠেকেছে। এভাবে চললে ভবিষ্যতে হয়তো একটা হলও থাকবে না। তিনি বলেন, আমাদের সব সমিতির কথা হচ্ছে, এখন আপাতত হল বাঁচতে হবে। মানুষকে হলে আনার অভ্যাস করাতে হবে। এ জন্য দেশের বাইরের ভালো ভালো কন্টেন্ট এনে হলেও হল সচল করতে হবে। তাই সব সমিতি মিলে নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত হিন্দি ছবি চালানোর পক্ষে। এটা নিয়েই শিগরিই সম্মিলিত সিদ্ধান্ত জানাবে সমিতি। এবারই প্রথম নয়। মূলত দেশের সিনেমা হলগুলো সচল রাখতে হিন্দি ছবি প্রদর্শনের প্রস্তাব এসেছিলো বেশ কয়েক বছর আগে।

নায়ক রিয়াজ বলেন, গেল বছর এ ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক, প্রযোজক ও পরিচালক সমিতির নেতারা। তবে তা বেশিদূর এগোয়নি। এবার শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ ছবি বাংলাদেশে মুক্তির ইস্যুতে আবার উঠে সেই দাবি। এই দাবির পক্ষে অনেকে থাকলেও অনেকেই বিপক্ষে মত দেন। তারা বলছেন, হিন্দি ছবি দেশে আনলে দেশের চলচ্চিত্র শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদের সেই মতের বিষয়ে তিনি জানান, যারা ওই কথা বলছেন, তারা সবাই তাদের ব্যক্তিগত মতামত দিচ্ছেন। তাদের ব্যক্তিগত মতামত নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। তবে আমি মনে করি, এখন সোশ্যাল মাধ্যমের যুগ। এখন দর্শক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দর্শকরা জানে কাদের কারণে হল বন্ধ হয়েছে। এখন যদি তারাই হল বন্ধের কথা বলে, চলচ্চিত্র ইন্ডাষ্ট্রি ধ্বংসের কথা বলে সেটা হাস্যকর লাগে।

এদিকে গতকাল জায়েদ খান বলেন, দেশীয় সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখার জন্য আমি কিন্তু আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধেছি, রাস্তায় নেমেছি। স্বার্থের কাছে কোনোকিছু জলাঞ্জলি দেইনি। আমাকে এমনও অফার করেছে যে, ওই দেশের ছবিতে কাজের সুযোগ করে দেবে। দিক বা না দিক, লোভ দেখিয়েছে। যদি শিল্পী সমিতি থেকে আন্দোলন না করি, তাহলে ভালো অঙ্কের টাকা দেবে। কয়েকটি হোটেলেও আমার সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু আমি আমার এই দেশীয় সংস্কৃতি তৈরি করার জন্য নিজেকে কারও কাছে বিক্রি করে দেইনি।

জায়েদ আরও বলেন, ‘আমি এর চেয়ে আরও বড় বড় অফার পেয়েও শিল্পীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছি। মিথ্যা বলে লাভ নেই, হিন্দি ছবির সাথে আমরা পারব না। সব সিনেমা হল দখল করে নেবে। নেপাল এভাবে পরীক্ষামূলকভাবে হিন্দি সিনেমা আমদানি করেছিল। পরে পুরো ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি ইন্ডিয়ান ছবির বিপক্ষে না।’

Related Articles

Back to top button