দৈনিক খবর

উনি আমার শিক্ষক, আমি ছাত্রী; এবার প্রেমকাহিনী শোনালেন কন্ঠশিল্পী সালমা

আইনজীবী স্বামীর গায়িকা স্ত্রী; কীভাবে মানিয়ে নেন? এ প্রশ্নের বিপরীতে সালমার জবাব, ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট পুরোটাই আসলে নিজের কাছে। মনের মানুষটা, নিজের মানুষটা যদি নিজের মতো হয়, দুজন দুজনকে যদি ভালোবাসা যায়; প্রবাদ আছে যে, বটতলায়ও থাকা যায়। ঠিক এটাই আমার মনে হয়। যে যেই পেশাতেই থাকুক না কেন, একজন আরেকজনের প্রতি সম্মান থাকলে, সুন্দরভাবেই অ্যাডজাস্টমেন্ট হয়। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের দুজনের বোঝাপড়া খুব ভালো।’

স্বামীকে নাম ধরে ডাকেন না সালমা। সাফিয়ার (সন্তান) বাবা বলে সম্বোধন করেন। ভালোবাসার বিশেষ দিনেও এই সম্বোধনে বললেন মনের কথা, ‘সাফিয়ার আব্বু, তোমাকে না পেলে জীবনটাকে ওইভাবে ব্যাখ্যা করা হতো না। তোমার জন্য সুন্দর গোছানো একটা জীবন পেয়েছি। তোমাকে ছাড়া এই পৃথিবী আমি চিন্তাই করতে পারি না।’

পড়তে গিয়ে প্রেমে পড়েছেন সালমা। জানালেন, ‘আমি যেহেতু আইন নিয়ে পড়ছিলাম, আর আমার স্বামী তো আইনজীবী; তো ওনার কাছেই আইনের প্রথম পাঠ নেওয়া হয়েছিলো। অর্থাৎ উনি আমার শিক্ষক ছিলেন, আমি ছাত্রী।’

সালমার মতে, প্রেম-ভালোবাসা থাকা ভালো, তবে এর সঙ্গে পরিবারকে যুক্ত করেই বিয়ে হওয়া উচিত। তার ব্যাখ্যা এরকম, ‘একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে ভালোবেসে সংসার করছে, এটা তো অনেক বড় পাওয়া পৃথিবীর বুকে। আরেকটা বিষয় হলো, যেহেতু আমাদের বাবা-মা ছোট থেকে বড় করেছে, তাদেরও ইচ্ছে থাকে। সেই জায়গা থেকে অবশ্যই ছেলে-মেয়ের ভালোলাগা, বোঝাপড়া থাকা উচিত। এরপরই অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করা উচিত। কারণ অনেক সময় ছেলে-মেয়েরা আবেগী হয়। কিন্তু পারিবারিকভাবে হলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। দুটো বিষয় থাকলেই বেস্ট।’

Related Articles

Back to top button