দৈনিক খবর

রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিশেষ যেসব সুযোগ-সুবিধা হবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে

সব জল্পনা কল্পনার শেষ করে দেশের দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। গতকাল সোমবার তাকে রাস্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে রাষ্ট্রপতি পদে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট. আবদুল হামিদের মেয়াদ ২৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। সে অনুযায়ী ২৪ এপ্রিল নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাহাবুদ্দিনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা রয়েছে।

রাষ্ট্রপতির মেয়াদ কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর। তবে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হলেও তার উত্তরসূরি দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি পদে বহাল থাকবেন। একই ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন না।

দেশের সংবিধান ছাড়াও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধাগুলি রাষ্ট্রপতির (পারিশ্রমিক ও বিশেষাধিকার) (সংশোধন) আইন, ১৯৭৫-এ দেওয়া আছে। ১৯৭৫ সালে প্রণীত হলেও প্রয়োজন অনুসারে আইনটি বিভিন্ন সময়ে সংশোধন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির (পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা) (সংশোধন) আইন, ১৯৭৫ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন হবে ১২০ হাজার টাকা। তার বিবেচনামূলক তহবিল বার্ষিক ২ কোটি টাকা। রাষ্ট্রপতি বিমানে ভ্রমণ করলে বীমা সুবিধা থাকবে। এই বীমা সুবিধা এখন বার্ষিক ২৭ লক্ষ টাকা।

রাষ্ট্রপতি বিনোদনের জন্য বার্ষিক ভাতা পান। এই পরিমাণ অডিট করা হবে না. ‘বঙ্গভবন’ হবে তাঁর সরকারি বাসভবন। এর সাজসজ্জা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সরকার বহন করবে। সাধারণত রাষ্ট্রপতি পরিবহন (গাড়ি) সুবিধা পাবেন। সরকারি কাজে দেশের বাইরে গেলে সরকার নির্ধারিত ভাতা পাবেন।

রাষ্ট্রপতি যদি তার নিজের বাড়িতে বা সরকারী বাসভবন ব্যতীত অন্য কোনও বাড়িতে বসবাস করতে পছন্দ করেন, তবে বাড়িটি সজ্জিত করা হবে এবং খরচ সরকার বহন করবে।

রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যদের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ সেবা খাতের যাবতীয় ব্যয় রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ব্যয় করা হয়।

রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশের যেকোনো হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে দেশের বাইরে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তার খরচও সরকার বহন করবে।

সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অন্য সকল ব্যক্তির উপরে। তিনি রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী ধারা ৯৫ এর ধারা (১) অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির নিয়োগ ছাড়া অন্য সকল দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আদৌ রাষ্ট্রপতিকে কোনো উপদেশ দিয়েছেন কি না এবং তা হলে কোনো প্রশ্নই করতে পারে না কোনো আদালত।

প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় ও পররাষ্ট্র নীতির বিষয়ে অবহিত করবেন এবং রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করলে, বিবেচনার জন্য যে কোনো বিষয় মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবেন।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্রপতি যেকোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ড ক্ষমা, বিলম্ব ও স্থগিত করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলে শেষ হতে যাচ্ছে বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের মেয়াদ। এরপর তিনি চলে যাবেন অবসরে। আর তার জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

Related Articles

Back to top button