ডিম পাড়া মুরগির সংকটে বিপাকে পড়েছে নিউজিল্যান্ড
ডিম পাড়া মুরগির সংকটে বিপাকে পড়েছে নিউজিল্যান্ড। ডিমের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। পাইকারি বাজারে দামও বেড়ে গেছে কয়েক দফা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে প্রিয় ডেজার্ট, পাভলোভা তৈরিতে ডিমের জুড়ি নেই। কিন্তু ডিমের ঘাটতির কারণে পাভলোভা তৈরিতে বেঁধেছে গোলযোগ।
দেশটির বিভিন্ন শহরের সুপারমার্কেটগুলোর ডিমের তাক খালি। শুধু তাই নয় কিছু দোকান মালিক, গ্রাহকরা কত ডিম কিনতে পারবে তার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করছে।
ব্যাটারিচালিত খাঁচায় মুরগি পালনের ওপর একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সরকারি নিষেধাজ্ঞা এ মাসে কার্যকর হয়েছে দেশটিতে। ফলে সরবরাহ কমেছে ডিমের এবং খরচও বেড়েছে।
দেশটির ডিম উৎপাদন ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক মাইকেল বুকস বলেছেন, চাহিদা মেটাতে নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যাপ্ত মুরগি নেই। তিনি জানান, বর্তমানে ৩৫ লাখ মুরগি আছে যারা ডিম দেওয়ার উপযোগী। কিন্তু ডিম সরবরাহ নিশ্চিত করতে ৩৯ লাখ মুরগির প্রয়োজন।
কাইলি হার্ভে নামে এক বেকারির মালিক জানান, নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ডে তার দোকান আছে। তিনি সপ্তাহে ৪৮০টি ডিম ব্যবহার করেন এবং এখন তার পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার তৈরিতে ডিম পেতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
নিউজিল্যান্ডের ডিম উৎপাদন ফেডারেশন বলছে, তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি সদস্যকে তাদের চাষ পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে এই পোল্ট্রি শিল্প ছেড়ে দিতে হয়েছে অনেককে।
মেক্সিকো, ইসরায়েল, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অধিকাংশ দেশে খাঁচায় মুরগি পালন নিষিদ্ধ। অস্ট্রেলিয়াও ঘোষণা করেছে তারা ২০৩৬ সালের মধ্যে খাঁচা পদ্ধতি পর্যায়ক্রমে বাতিল করবে।