আগামী ২০২৪ সালের জুলাই-আগষ্টে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে অলিম্পিক গেমস। সেখানে অন্যান্য খেলার মধ্যে নারী ফুটবলও অনুষ্ঠিত হবে। আসরে নারী ফুটবল ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের। এজন্য লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের বাছাই পর্বের বাধা পেরোতে হবে। তবে সাফজয়ী সাবিনা খাতুনদের অলিম্পিকে খেলার স্বপ্নের সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থাভাব। বুধবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ এক ভিডিও বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হবে নারী অলিম্পিকের বাছাইপর্ব। সেখানে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। তবে অর্থিক সংকটের কারণে আমরা সেখানে যতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, আসরটি প্রাথমিকভাবে আমরা হোস্ট (আয়োজক) করতে চেয়েছিলাম। এই জন্য আমরা এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের কাছে হোস্টিংয়ের আবেদন করি। কিন্তু এই আসরটির হোস্টিং মিয়ানমারকে দেয়া হয়। আসরটিতে অংশগ্রহণ করতে হলে প্রত্যেক দলকে নিজ নিজ দায়িত্বে যাতায়াত, থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে অনুশীলন, অভ্যন্তরীণ খরচ বহন করতে হবে। সেই পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে ওখানে অংশগ্রহণ করতে প্রয়োজনীয় যে অর্থ লাগে সেটি বাফুফের নেই। তাই সেখানে আমরা অংশগ্রহণ করতে পারছি না।
প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য কয়েক যায়গায় আবেদন করেছিল বাফুফে। সেখান থেকে আশানুরূপ ফলাফল আসেনি বলে জানান বাফুফের সাধারণ সম্পাদক। আবু নাঈম বলেন, আমরা গত সপ্তাহে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নিকটে এ প্রতিযোগিতার জন্য আর্থিক সহযোগিতার বরাদ্দ চাই। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কোনো আশানুরূপ ফলাফল না আসায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা অলিম্পিক বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করতে পারছি না।
৫ থেকে ১১ এপ্রিল মিয়ানমারে বাংলাদেশের খেলার কথা ছিল ‘বি’ গ্রুপে। প্রতিপক্ষ ছিল ইরান, মালদ্বীপ ও মিয়ানমার। গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি। বাফুফে চেষ্টা করেও ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলানোর জন্য সাবিনাদের প্রতিপক্ষ ঠিক করতে পারেনি। অলিম্পিক বাছাইয়ের মধ্যে দিয়ে সাড়ে ৬ মাস পর মাঠে নামার সুযোগ ছিল মেয়েদের। বাফুফে সেই সুযোগটাও করে দিতে পারলো না দেশের ফুটবলের আলো জ্বালিয়ে রাখা সাবিনা-কৃষ্ণাদের।