এবার ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের ঋণখেলাপি হওয়া নিয়ে ধুয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই সমস্ত খেলাপি ঋণের দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে বাংলাদেশের ধনীক শ্রেণীর বক্তিরা এবং শিল্পপতিরা। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক লোকের কারণে ব্যাংক গুলো নানাভাবে সংকটের মুখে পড়ছে। এবার এ বিষয় নিয়ে এই সব ঋণ খেলাপিদের ধুয়ে দিলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ বলেছেন, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা শুরু করার পর নীতি-নৈতিকতা বাদ দিয়ে শুধু নিজে কিভাবে বড়লোক হতে পারবে, তা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। তিনি বলেন, বড় বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপি হন।’
শনিবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘ষষ্ঠ সমাবর্তন-২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, চাকরিতে প্রবেশের পর কীভাবে গাড়ি ও বাড়ির মালিক হওয়া যায় সেই চিন্তায় ব্যাস্ত থাকেন। নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থে দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতেও পিছপা হন না।
রাষ্ট্রপ্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন, গ্রাজুয়েটরা দেশের বিবেকবান নাগরিক হিসেবে তাদের মেধা ও মানবিকতা দিয়ে দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবেন।
জাবিরের ষষ্ঠ সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একটি ব্যাংকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। একজন গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক ব্যাংক থেকে নাম বেনামে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার অভিযোগ ওঠে। শধু এই ধরণের একটি বা দুটি ঘটনা সামনে এলেও এরকম অনেক ঘটনা ঘটে থাকে যেটা আড়ালেই রয়ে যায়।