দৈনিক খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে সজিনার বাম্পার ফলনের আশা চাষিদের

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সজিনা ভাল ফলনের আশা করছেন সজিনা চাষি ও সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার গাছে গাছে এখন শোভা পাচ্ছে নান্দনিক সজিনা ফুল। উপজেলায় প্রচুর সজনার গাছ রয়েছে। বহুগুণে গুণান্বিত যাদুকরি সবজি সজনা।

ঔ’ষধি গুণাগুণেভরা, সুস্বাদু, কোনো উৎপাদন খরচ নেই, অধিক লাভজনক এবং বাজারে ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন সবজি সজনা। শীতের রিক্ততা কাটিয়ে এখন ফুলে ফুলে ভরে গেছে সজনা গাছ। মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছি আর সজনা ফুলে আকৃষ্ট হচ্ছে পথিক। ড্রামস্টিক, মরিঙ্গাসহ দেশে-বিদেশে সজনা বহু নামে পরিচিত হলেও বাংলাদেশে সজনা নামেই পরিচিত। সজনার বহুবিধ ঔষুধি গুণাগুণ রয়েছে। পুষ্টিসমৃদ্ধ মৌসুমি সবজির মধ্যে সজনা অন্যতম, যা দেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়।

সজনা গাছকে প্রচলিত বিভিন্ন খাদ্য প্রজাতির মধ্যে সর্বোচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন উদ্ভিদ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বহুবিধ খাদ্যগুণ সম্পন্ন হওয়ার দক্ষিণ আফ্রিকায় সজনা গাছকে যাদুক গাছ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

এক বেসরকারি সংস্থা নবলোকের প্রকাশিত ‘নিউট্রিশন ফ্যাকটর অফ মরিঙ্গা লিপ’ এ উল্লেখ করা হয়েছে শরীরে কোলস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখে, হজমের সাহায্য করে, শরীরে পুষ্টি ও শক্তি যোগায়, বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং সজনার গুড়ার পেষ্ট ত্বকের জন্য উপকারী। মৌসুমি জাতের বেশিরভাগ আবাদ হয়ে থাকে।

এসব নানাবিধ গুণের কারণে প্রতিবছর দেশে প্রায় সবস্থানে প্রচুর পরিমাণে সজনার চারা ও ডাল রোপন করা হয়। একক কোনো চাষাবাদ কোথাও না হলেও প্রতিটি অঞ্চলে অন্যান্য ফসল আবাদের অনুপযোগী যেমন ক্ষেতের আইল, ঘরের বাঁধ এবং রাস্তার দু’পাশ দিয়ে মৌসুমি সজনার আবাদ রয়েছে। হরিপুর উপজেলার ৬ ইউনিয়নে সজনার চাষ হয়। চলিত মৌসুমে প্রতিটি গাছ ফুলে ফুলে ভরে গেছে। সজনা চাষে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করতে সব রকম পরামর্শ দিয়ে আসছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি অফিসার রুবেল হোসেন জানান, পুষ্টিগুণের দিক থেকে সজনা অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। সজনা লবণ সহিষ্ন একটি ফসল। সজনা অল্প দিনেই খাওয়ার উপযোগী হয় এবং বাজারজাত করা যায়। খেতে সু-স্বাদু ও বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় সবজির আবাদ অত্যন্ত লাভজনক। অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রে পরিচর্যার প্রয়োজন হলেও অনেকটা পরিচর্যাও প্রয়োজন ছাড়াই সজনার উৎপাদন সম্ভব।

Related Articles

Back to top button