দৈনিক খবর

মায়ের মৃ’ত্যু’র পর এল পেনশনের টাকা, ফেরত দিলেন সন্তানেরা

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে অবসরপ্রাপ্ত এক নারীর মারা যাওয়ার পরও পেনশনের টাকা পেয়ে সরকারি কোষাগারে ফেরত দিয়েছেন তার ছেলে-মেয়েরা। সোমবার হরিরামপুর সোনালী ব্যাংক শাখায় এই টাকা জমা দেন তারা।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চালা ইউনিয়নের বলর্দি গ্রামের আব্দুল মজিদ মুনশী ছিলেন খলিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ২০০৮ সালে মারা যান তিনি। পরে তাঁর স্ত্রী সুফিয়া বেগম পেনশনের টাকা পেতেন।

গত ১ বছর আগে সুফিয়া বেগমও মারা যান। সবশেষ ৭ মাসের পেনশন ও বৈশাখী ভাতার ৭৬ হাজার ৭০০ তাঁর অ্যাকাউন্টে চলে আসে। পরে তাঁর বড় ছেলে এবং চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের ডেপুটি ম্যানেজার মুনশী সোহাগ আজ সোমবার দুপুরে সরকারি কোষাগারে সেই টাকা জমা দেন।

মুনশী সোহাগ বলেন, ‘আব্বা মারা যাওয়ার পর পেনশনের সব টাকা তুলে ফেলতে চেয়েছিলাম। আব্বার বেশ কয়েকজন কলিগ নিষেধ করলেন এটা করতে। শেষ পর্যন্ত পেনশন থাকল মার নামে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের পেনশনের টাকা আসেনি,

কারণ লাইভ ভেরিফিকেশন হয়নি তখনো। আমার স্ত্রী মালিহা আর মা মিলে উপজেলা অফিস থেকে লাইভ ভেরিফিকেশন করে আসল, চালু হয়ে গেল পেনশন। পেনশনের লাইভ ভেরিভিকেশন করে তাঁর দিন পাঁচেকের মাথায় মা চলে গেলেন না ফেরার দেশে।’

মুনশী সোহাগ বলেন, ‘মা চলে যাওয়ার পর মার মৃ;ত্যু সনদ উঠিয়ে পেনশন অফিসে জমা দিতে বেশ কিছুদিন সময় অতিবাহিত হয়ে গেল। এর মধ্যে অ্যাকাউন্টে পেনশনের টাকা আসতেই আছে, যখনই পেনশনের টাকা আসার মেসেজ আসে মার হাসিমাখা মুখটা মনে পড়ে।

এভাবে ২২ মার্চ হতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসের টাকা, সঙ্গে বৈশাখ ভাতা, দুই ঈদের বোনাস, সব মিলিয়ে ৭৬ হাজার ৭০০ টাকা মার মৃত্যুর পর অতিরিক্ত জমা হয়েছিল। অবশেষে ঠিক মা চলে যার দিনটিতেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি ক্লোজ করে অতিরিক্ত জমা হওয়া টাকটা সরকারি কোষাগারে জমা করলাম ছোট ভাই রফিকুলকে দিয়ে।’

এ নিয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, ‘মা মা;রা যাওয়ার পরে যে টাকা অ্যাকাউন্ট এসেছে, সরকারি কোষাগারে সে টাকা ফেরত দিয়েছেন। এটা অনুকরণীয়।’

Related Articles

Back to top button