দৈনিক খবর

জীবনেও আর নির্বাচনে দাঁড়াব না: হিরো আলম

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে আসনে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে গেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম। তিনি এই আসনে হেরেছেন মহাজোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে। তবে হিরো আলমের পরাজয় মেনে নিতে পারছেন না তার সমর্থকরা। তাদের দাবি, হিরো আলম নির্বাচনে হারেননি। ফলাফল পাল্টে তাকে হারানো হয়েছে। এরকম মনোভাব থেকে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিও করেন অনেকে। এরইমধ্যে হিরো আলম জানিয়েছেন, নির্বাচনের ফলাফল তিনি মানেন না। এবার গণভোট ভোট চাইলেন নিজের জনপ্রিয়তা প্রমাণে। জানালেন, জনপ্রিয়তা প্রমাণে ব্যর্থ হলে জীবনেও আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না, নির্বাচনের নাম মুখেও আনবেন না তিনি। সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন হিরো আলম।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় হিরো আলম বলেন, ‘আপনারা সবাই দেখেছেন গতকাল বৃহস্পতিবার রাশেদা সুলতানা (নির্বাচন কমিশনার) আমাকে নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন। তিনি বলেছেন, শুধু হিরো আলম না প্রতিটি প্রার্থীই পরাজয়ের পর বলে ভোট সুষ্ঠু হয়নি, কারচুপি হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন নন্দীগ্রামে হিরো আলমের কোনো এজেন্ট ছিল না। আমার কথা নাকি সব ভিত্তিহীন।’

এরপর হিরো আলম তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আপনারা হিরো আলমের একতারা আর তানসেনের মশালের মাঝে গণভোট দেন তো দেখি। জনগণ ভোট দিয়েছে কী দেয়নি, ফলাফল কারচুপি হয়েছে কী হয়নি সেটাও আমি দেখাব। প্রতিটি কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা দেবেন। তারপর দেখেন হিরো আলম আর মশাল মার্কার মাঝে কে জেতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মশাল মার্কার এত জনপ্রিয়তা তাহলে আপনারা গণভোট দেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বললাম জীবনেও আর নির্বাচনে দাঁড়াব না। নির্বাচনের নাম মুখেও আনব না শুধু আপনারা প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দিয়ে গণভোট দিয়ে দেখেন। তখন দেখা যাবে কার কত জনপ্রিয়তা। আমি দেশবাসীর সামনে বলতে চাই আমি গণভোট চাই।’

এর আগে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। ফল বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এদিকে বগুড়ার দুটি আসনে পরাজয়ের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, আমার বিজয় ছিনতাই হয়েছে। এই ফল প্রত্যাখ্যান করছি। এই ফল বয়কট করছি। এই ফল মানি না। ফল বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করব।

এদিকে ফল পাল্টানোর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বৃহস্পতিবার টেলিফোনে বগুড়ার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানকে এ নির্দেশ দেন। এ ছাড়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরিত কেন্দ্রভিত্তিক ঘোষিত ফলাফলও পাঠানোর নির্দেশ দেন সিইসি।

Related Articles

Back to top button