opinionদৈনিক খবর

গুলশানের এক ঘটনা দিয়েই হাসিনা সরকার এই প্রথম আলোকে ‘কামরূপ কামাখ্যায়’ বন্দী করে রেখেছে: সঞ্জু

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রধম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেফতারের পর তোলপাড় শুরু হয়েছে অনেকেই তাকে গ্রেফতারের এই ঘটনায় নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং সেই সাথে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আব্দুল হাই সঞ্জু। নিচে সেটি তুলে ধরা হল-

গুলশানের হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা প্রথম আলো সংবাদপত্রের জন্য ‘কামরূপ কামাখ্যা’। এই ঘটনা দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার এই সংবাদপত্রকে কামরূপ কামাখ্যায় বন্দী করে রেখেছে। কারণ প্রথম আলোর মালিকের নাতি ফারাজকে সহজেই ওই ঘটনায় ভিলেন বানিয়ে দিতে পারে/পারতো সরকার।
এখন জানা গেলো সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের ভাই পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ২০১৬ সালে গুলশানের হোলি আর্টিজানে বীরত্বপূর্ণ লড়াই করে শাহাদাত বরণ করেন। প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক শেখ হাসিনাকে তেল দিয়ে লেখা তাঁর মতামত কলামে এই তথ্য উল্লেখ করেছেন।

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। শামসুজ্জামান এবং মতিউর রহমানকে সরকারের রোষানল থেকে মুক্ত করতে ত্রাতার ভূমিকায় নেমেছেন আনিসুল হক। এর আগেও তিনি একই রকম ভূমিকা পালন করেছেন ফারাজের জন্য লিখে।

ঢাকার রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের ক্ষেত্রে মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে। নতুন করে আরেকটি যোগ হলো। সরকারের প্রয়োজন হলে দুটো মামলার যে কোনো একটি ধরে টান দেবে।

এ কারণে মতিউর রহমান এবং প্রথম আলো শেখ হাসিনার মাইনকা চিপায় আছে। কিন্তু সরকারের ভেতরের লোকজনের কাছে আনিসুল হক একজন ‘ডার্লিং’।
এ কারণে বারবার আনিসুল হককে কলম ধরতে হয়/ কী বোর্ড চাপতে হয়। তাঁর লেখায় শেখ হাসিনার পিতার প্রশংসা থাকে। তিনি জানেন, শেখ হাসিনার সবচেয়ে দুর্বল জায়গা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সরকার জেনে গেছে প্রথম আলোর দুর্বল স্থান হোলি আর্টিজেন এবং মতিউর রহমান।
দেখা যাক, পানি কতোটুকু গড়ায়।

Related Articles

Back to top button