দৈনিক খবর

প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা দেয়নি সজিব, ফলাফল শীটে নাম

গতকাল প্রকাশ করা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের বৃত্তির ফলাফল, তবে প্রকাশ করার কয়েক ঘন্টা পর ফলাফল স্থগিত করে দেয় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। এদিকে জানা গেছে, অনেক শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন না করলেও ফলাফল শীটে তারা বৃত্তি পেয়েছে। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ক্ষেত্রে। পরীক্ষায় অনুপস্থিত হয়েও সাধারণ গ্রেডে প্রাথমিক বৃত্তি পেয়েছে সজিব আলী নামের ঐ শিক্ষার্থী। তার বৃত্তি পরীক্ষার রোল নম্বর-২৪।

সজিব জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার চর গোরক মন্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। সে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমণ্ডল গ্রামের হুজুর আলী ও ছকিনা বেগম দম্পত্তির ছেলে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, সজিব আলী ফরম পূরণ করলেও ৩০ ডিসেম্বর ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ওই কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষে সে অনুপস্থিত ছিল।

এদিকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল প্রকাশ হলে দেখা যায়, উপজেলার ট্যালেন্টপুলে ৪৪ জন এবং সাধারণ গ্রেডে ৩৭ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। তাদের মধ্যে ফলাফল সিটে সজীবের ২৪ রোল রয়েছে।

এ বিষয়ে চর গোরকমন্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম শফিকুল আলম বলেন, ডিআর-এ সাত শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের রোল নং ২৪, ২৫ ও ৩০ তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।

সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। ফলাফলের আসনে তার রোল কীভাবে এসেছে তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, সে তালিকায় অনুপস্থিত থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বিকেলে প্রকাশিত প্রাথমিক বৃত্তির ফল স্থগিত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট অনুজ কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে এই ধরনের ফলাফল কীভাবে আসলো সে বিষয়ে অনেক অভিভাবক প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের সঠিক ফলাফল নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এটা কোনো ভাবেই আশা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। এদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন ফলাফল নিয়ন্ত্রক বিভাগ।

Related Articles

Back to top button