মুলার বীজ উৎপাদনে লাভবান কৃষানী আনোয়ারা বেগম
নিজের চাষাবাদের জমি না থাকায় অন্যের জমি লিজ নিয়ে মুলা চাষ করে আনোয়ারা বেগম সফল হয়েছেন। তার উৎপাদিত মুলা বীজ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। তিনিও মুলা চাষে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পেরেছেন। মুলা চাষে কৃষানী আনোয়ারা বেগমের সাফল্য। মুলা চাষ করে তিনি এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন।
কৃষানী আনোয়ারা বেগম মুন্সিগঞ্জের দোরাবর্তী গ্রামের বাসিন্দা। নিজের জমি না থাকায় স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি অন্যের জমি লিজ নিয়ে মুলা চাষ শুরু করেন। প্রায় ৩০ বছর আগে থেকে তিনি মুলার চাষ শুরু করেছিলেন। তিনি এই মুলা চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। পাশাপাশি লাভের আশাও করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ১০ একর জমিতে মুলার চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন।
কৃষানী আনোয়ারা বেগম বলেন, প্রায় ৩০ বছর যাবত মুলা চাষ করছি। প্রথমে আমি আর আমার স্বামী মুলার চাষ করতাম। আমি আমার স্বামীর কাছ থেকে মুলা চাষ শিখেছি। তিনি ৬ বছর আগে মারা যাওয়ার পর আমি একাই মুলার চাষ করি। প্রতি বছর বছর চাষের পরিমান বাড়ছে। আমার চাষাবাদের কোনো জমি নেই। বর্তমানে ১০ একর জমি লিজ নিয়ে মুলার চাষ করেছি। প্রতি একর জমি লিজ নিতে ৪০-৫৫ হাজার টাকার প্রয়োজন হয়। সাথে আমার সব কাজ শ্রমিক দিয়ে করাই। শ্রমিকের মুজুরীও বেড়েছে। জমিতে উৎপাদিত মুলা দানাগুলো বিভিন্ন জেলার পাইকাররা আমার বাড়িতে এসে নিয়ে যায়। যদি আড়তে নিয়ে বিক্রি করতাম তাহলে আরো বেশি দামে বিক্রি করতে পারতাম। বাড়িতে এসে নিয়ে যাওয়ায় দাম কম পাই।
আনোয়ারা বেগমের প্রতিবেশী আয়নাল সরদার বলেন, আগে আনোয়ারা বেগম ও তার স্বামী মুলা চাষ করতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর আনোয়ারা বেগম নিজেই মুলার চাষ করছেন। এবছর তিনি ১০ একর জমিতে মুলার চাষ করছেন। তিনি শ্রমিক দিয়ে তার জমিতে উৎপাদিত মুলার বীজ সংগ্রহ করেন। পাইকাররা তার বাড়িতে এসে বীজ কিনে নিয়ে যান। তিনি মুলা বিক্রি করেন না। শুধু বীজ বিক্রি করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়নুল আবেদিন বলেন, মুলা চাষে কৃষানী আনোয়ারা বেগম স্বাবলম্বী হয়েছেন। মুলা চাষে সরকারের কোনো সহযোগিতা প্রদান করে না। আর বর্তমানে সরকার পুষ্টিগুণ সম্পন্ন, উচ্চ ফলনশীল, আধুনিক চাষাবাদে সরকার বেশি সহযোগিতা করছে। সরকার সাধারনত প্রয়োজনীয় ফসল যেমন ধান, সরিষা এগুলোতে সহযোগিতা দিয়ে থাকেন।