বঙ্গোপসাগরে ২০০ মণ উলুয়া মাছ ধরা পড়েছে
বঙ্গোপসাগরের জেলেদের জালে ধরা পড়েছে প্রায় ২০২ মণ উলুয়া মাছ। প্রতিটি মাছের ওজন ৫-১৩ কেজি পর্যন্ত। পরে মাছ গুলো কায়ুকখালীয়া ফিশারিজ ঘাটে নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমান। ধরা পড়া মাছ গুলো প্রায় ২৪ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। সেন্টমার্টিন দ্বীপের ছেঁড়াদিয়ার পূর্ব-দক্ষিণের কাছাকাছি বাংলাদেশ জলসীমানার ‘মৌলভীর শীল’ এলাকায় জেলেদের জালে মাছ গুলো ধরা পড়ে। মাছ গুলো সালেহ আহমদের ট্রলারের মাঝিরা ও আরো অন্যান্য মাঝিরা মিলে ধরেন।
টেকনাফ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, ট্রলারে ধরা পড়া মাছগুলোকে উলুয়া মাছ বলা হয়। তবে স্থানীয় ভাষায় এটি ‘নাগুমাছ’ নামে পরিচিত। মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘ক্যারানেক্স আইগনোবিলিস’ এবং ইংরেজি নাম ‘জায়ান্ট ট্রিভ্যালি’।
‘এমভি সালমান’ এর মাঝি আছাবুল ইসলাম ও ‘এমভি আজিজুল’ এর মাঝি নুরুল হাসান বলেন, সকাল ১১ টার দিকে সাগরের মৌলভীর শীল এলাকায় চারটি ট্রলারের জাল ফেলা হয়। জাল ফেলার কয়েক ঘন্টা পর সাগরের পানি নড়াচড়া করতে দেখা যায়। তারপর আশেপাশের জেলেদের খবর দিয়ে জাল টান দেওয়া শুরু হয়। তারপর নজরে আসে যে নাগুমাছের ঝাঁক আটকা পড়েছে। পরে ট্রলার থেকে ঝুড়িভরতি করে মাছগুলো ফরিদ আলমের ফিশারিজ ঘাটে বরফ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। রাত ৯টার দিকে চারটি ট্রলার কায়ুকখালীয়া ফিশারিজ ঘাটে পৌঁছালে মাছগুলো একনজর দেখার জন্য স্থানীয় লোকজন ভিড় জমায়।
চার ট্রলারের একটির মালিক সালেহ আহমদ বলেন, আমার চার ট্রলারে প্রায় ১০০০ ধরা পড়েছে। কায়ুকখালীয়া ফিশারিজ ঘাটে আনার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যান।
মাছ ব্যবসায়ী ছৈয়দ আলম, মোহাম্মদ সাইফুল ও হাসান ফকির বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামে সহ অন্যান্য হাটে এই মাছের কদর রয়েছে। আমরা কয়েকজন মিলে প্রায় ১৫০ মণ মাছ কিনে নিয়েছি। এই মাছের বারবিকিউ পর্যটকদের পছন্দ। আশা করি ভালো লাভ হবে। এইসব মাছ ঢাকা-চট্টগ্রাম পাঠানোর পাশাপাশি আকার ভেদে স্থানীয় বাজারে ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারবো।