দৈনিক খবর

বারোমাসি কাটিমন আম চাষে লাভবান কল্যান চাকমা

কল্যাণ চাকমা বারোমাসি কাটিমন আমের বাগান করে সফল বাগানি। তিনি শখের বশে ৪৫০টি কাটিমন আমের চারা রোপন করেছিলেন এখন আমের ভালো ফলনের কারণে বাণিজ্যিক রূপ ধারন করেছে। এখন তার আমের বাগান দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভিড় করছেন।

আম বাগানি কল্যাণ চাকমা খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বাসিন্দা। তিনি শখের বশে পশ্চিম থানা পাড়ায় মাত্র ৬ একর পাহাড়ি ঢালুতে ৪৫০টি কাটিমন আম গাছ লাগান। ইতোমধ্যে তিনি তার বাগানের আম বিক্রি করাও শুরু করেছেন। চারা লাগানের মাত্র ৩ বছরেই ফল পাওয়া শুরু করেন।

কল্যাণ চাকমা বলেন, এই আমের চাহিদা অনেক। এই আম গুলো কাঁচা মিষ্টি। সারাবছরই এই আমের চাহিদা রয়েছে। তাই শখের বশে পাহাড়ের ঢালুতে ৪৫০টি চারা রোপন করি। চারা রোপনের ৩ বছরের মধ্যেই ফলন পাই। প্রতি কেজি আম ৩০০-৪০০ টাকা দরে প্রায় লক্ষাধিক টাকার আম বিক্রি করেছি। খাগড়াছড়িতে জনপ্রিয় হচ্ছে বারমাসি কাটিমন আম। তবে বারোমাসি এসব গাছের একই গাছে একসঙ্গে মুকুল, ছোট আম এবং পরিপূর্ণ আম পাওয়া যায়।

আমবাগানি কল্যাণ চাকমার, স্ত্রী শিক্ষক তনয়া চাকমা বলেন, অন্যান্য আমের তুলনায় এই আমের বাজারদর বেশি। আর এই আম ফলন দেওয়া শুরু করলে সারাবছরই আম পাওয়া যায়। আমার স্বামীর পাশাপাশি আমিও বাগানের পরিচর্যা করি। অনেকে এই আম চাষের পরামর্শও নিতে আসেন। আমাদের বাগানটি দেখতে প্রতিদিন আনেক মানুষ ভিড় করেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, কল্যাণ চাকমার বারোমাসি কাটিমন আম বাগানটা আমরা পরিদর্শন করেছি। আমরা কৃষকদের এই জাতের আম চাষের জন্য উৎসাহিত করবো। পাহাড়ে আম্রপালি জাতের আমের চাষ করা হলেও এখন কাটিমন আমও ফলন দিচ্ছে।

কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, এই আমটি কাঁচা মিষ্টি আম। থাইল্যান্ড প্রাজতির আমটি ফল দেওয়া শুরু করলে সারাবছরই ফল দিয়ে থাকে। কৃষকরা এই জাতের আম চাষ করতে চাইলে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। খাগড়াছড়ি হটিকালচারে বারোমাসি কাটিমন ৩০০০ টি কলম রয়েছে।

Related Articles

Back to top button